অভিযোগ সাদিক কায়েমের

চারুকলায় শিবিরের ফেস্টুন ভাঙচুর করেছেন ‘কালচারাল ফ্যাসিস্টরা’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশিত: ০৮:২৪ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২৫
চারুকলায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের প্রচারণায় শিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ফেস্টুন টানানোর কিছুক্ষণের মধ্যে সেগুলো ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনা ‘কালচারাল ফ্যাসিস্টরা’ ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে চারুকলা অনুষদে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাদিক কায়েম বলেন, শেখ হাসিনার প্রেতাত্মাদের মতো কিছু কালচারাল ফ্যাসিস্ট এখনো চারুকলায় সক্রিয়। তারাই আমাদের প্রার্থীদের ছবি বিকৃত করে ফেস্টুন মাটিতে ফেলে দিয়েছেন।

এর আগে সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রার্থীদের ছবি সংবলিত ফেস্টুন টানায় ছাত্রশিবির। তবে দুপুরে চারুকলা অনুষদ এলাকায় থাকা ফেস্টুন সরিয়ে ফেলা হয় এবং প্রার্থীদের মুখমণ্ডল বিকৃত করে ভয়ঙ্কর কার্টুনে রূপ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে আবু সাদিক কায়েম বলেন, চব্বিশের পরাজিত শক্তি এখনো সক্রিয় রয়েছে। তারাই ডাকসু নির্বাচন বানচাল করতে চাইছে। নারী প্রার্থী সাবিকুন্নাহার তামান্নার ছবি বিকৃত করা আসলে তাদের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের নগ্ন বহিঃপ্রকাশঅ

তিনি অভিযোগ করেন, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পরও আমরা দেখেছি চারুকলা অনুষদের ভেতর থেকে একটি গোষ্ঠী খুনি শেখ হাসিনার ব্যঙ্গাত্মক ভাস্কর্য আগুনে পুড়িয়েছিল। এখন সেই একই গোষ্ঠী দায় চারুকলার সাধারণ শিক্ষার্থীদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করছে। কিছু চিহ্নিত গণমাধ্যমও এই অপপ্রচারে যুক্ত।

এ সময় শিবিরের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ বলেন, বোরকা পরা এক নারী প্রার্থীর ছবিকে বিকৃত করার ঘটনা প্রমাণ করে খুনি হাসিনার আমলের ইসলামোফোবিয়া ও হিজাবোফোবিয়ার কুৎসিত রাজনীতি এখনো শেষ হয়নি। এটি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার পাশাপাশি ধর্মীয় প্রতীক অবমাননার শামিল।

এফএআর/কেএসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।