রাকসু নির্বাচন: ভোটারদের অর্থ দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রদলের বিরুদ্ধে

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক রাবি
প্রকাশিত: ০৫:১৮ পিএম, ০৭ অক্টোবর ২০২৫
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফাহিম রেজা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভোটারদের সরাসরি অর্থ প্রদানের অভিযোগ এনেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল। তাদের অভিযোগ, ছাত্রদল আরবি বিভাগের ২০২৪-২৫ সেশনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৫ হাজার টাকা বিতরণ করেছে, যা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

মঙ্গলবার (৭ই অক্টোবর) দুপুর ১টায় রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর নির্বাচনে ছাত্রদলের আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে স্মারকলিপি দেন ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেল।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, আসন্ন রাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রদলের প্যানেল একাধিক ক্ষেত্রে আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে, যা নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করছে।

এতে অভিযোগ করে বলা হয়, ছাত্রদল প্যানেলের প্রার্থীরা আচরণবিধির পরিপন্থি ক্লাসরুমে প্রবেশ করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ১৫ সেপ্টেম্বর জিএস প্রার্থী নাফিউল ইসলাম জীবন আরবি বিভাগের ২০২৪–২৫ সেশনের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে (শহীদুল্লাহ অ্যাকাডেমিক ভবন, কক্ষ ৩০৬) প্রচারণা চালান।

এছাড়া ১৮ সেপ্টেম্বর আরবি বিভাগের ২০২৪–২৫ সেশনের শিক্ষার্থীদের ৫ হাজার টাকা প্রদান করার অভিযোগও তোলা হয়েছে। পাশাপাশি নির্ধারিত সময়সীমার বাইরে প্রচার-প্রচারণা চালানো এবং ভোটার নন এমন ব্যক্তিদের প্রচারণায় সম্পৃক্ত হওয়ার বিষয়েও অভিযোগ উত্থাপন করা হয়, যা নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত নিয়মাবলির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফাহিম রেজা বলেন, তারা এর আগে লিখিত অভিযোগ না দিলেও, আবরার ফাহাদ স্মরণে নিপীড়নবিরোধী দিবস পালনের অনুমতি চেয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশন আচরণবিধি লঙ্ঘনের কথা বলে সেই অনুমোদন দেয়নি। কিন্তু ছাত্রদল নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়াই আজ বিকেলে নিজ উদ্যোগে কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এ বিষয়ে তারা লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এফ নজরুল ইসলাম বলেন, কয়েকবার নির্বাচন পেছানোর কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে ১৬ তারিখে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি নিশ্চয়তা দেন।

তিনি জানান, নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত বাজেটের চেয়ে অতিরিক্ত বাজেট প্রয়োজন হবে, তাই সব প্রার্থীরও অতিরিক্ত খরচ লাগবে-এটা স্বাভাবিক।

মনির হোসেন মাহিন/কেএইচকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।