কষ্টে দিন কাটছে ইবির দোকানি-ভ্যানচালকদের

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ১১:৪৯ এএম, ১২ মে ২০২০

দেশে দিন দিন বেড়েই চলছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। সরকার লকডাউন শিথিল করলেও করোনার ভয়ে অনেক শ্রমজীবী মানুষ তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরতে পারছেন না। করোনার কারণে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রে করে জীবিকার তাগিদে ছুটে আসা দোকানি ও রিকশা-ভ্যানচালকরা চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) অর্ধশতাধিক খাবার হোটেল, চা, মুদি, ফটোকপি ব্যবসায়ী ও ভাসমান দোকানি রয়েছেন। এছাড়া প্রায় একশ ভ্যানচালক রয়েছেন। যাদের আয়-রোজগারের একমাত্র অবলম্বন এ ক্যাম্পাস।

কিছু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ভ্যানচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চরম কষ্টে দিনাতিপাত করছেন তারা। বাড়িতে বসে অলস সময় পার করছেন অধিকাংশ দোকানি।

কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল সংলগ্ন হোটেল ব্যবসায়ী বছির উদ্দীনের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রায় দুই মাস ধরে বাড়িতে বসে আছি। বড় ছেলের এক দোকান আছে, কিন্তু খুললেই পুলিশ এসে বন্ধ করে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুইবার মাত্র ১০০০ টাকা দিয়েছিল। খুব কষ্টে দিন যাচ্ছে আমাদের।

এদিকে সাদ্দাম হল সংলগ্ন চায়ের দোকানি রুহুল হোসেন জানান, বাড়িতে একটি গাভি আছে। সেটা প্রতিদিন যে দুধ দেয় তা বিক্রি করে কোনোরকম সংসার চলছে।

কথা হয় ক্যাম্পাসের সবার পরিচিত ভ্যানচালক আশিকুর রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, লকডাউন থাকায় এতোদিন শেখপাড়া বাজারেও ভ্যান চালাতে পারিনি। এখন রোজা থেকে সকাল বেলা মাঠের কাজে যাই। সেখান থেকে কিছু টাকা উপার্জন হচ্ছে। ক্যাম্পাস থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা পাইনি।

iu

আরেক ভ্যানচালক রাজু আহমেদ বলেন, অনেকদিন পর আজ ভ্যান নিয়ে বাইরে বের হয়েছি। কিছু টাকা আয় হয়েছে।

এদিকে ফটোস্ট্যাট ব্যবসায়ী রাসেল হোসেন বলেন, বাড়ির পাশে ছোট একটি দোকান ছিল। এখন আপাতত সেখানে বসছি। লকডাউন থাকায় সবসময় দোকান খুলতে পারি না। তাই আয়-রোজগারও খুম সীমিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কিছুটা আর্থিক সহায়তা করলে রোজার দিনগুলোতে আমরা কিছুটা হলেও উপকৃত হতাম।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, আমাদের তো অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত তথা থোকে ও ডে লেবারে নিয়োজিতদেরকে প্রথমত বিবেচনা করছি। তারপর অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা বজায় রেখে আমরা তাদের বিষয়টি বিবেচনায় রেখেছি।

আরএআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।