জবিতে নেই জিমনেশিয়াম, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই কোনো জিমনেশিয়াম। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন একাডেমিক ভবনের নিচ তলায় অস্থায়ীভাবে ইনডোর গেমস বাস্কেট বল, ক্যারাম খেলার জন্য ব্যবহার করেন শিক্ষার্থীরা। তবে সেখানে শরীরচর্চার বিশেষ কোনো যন্ত্রপাতি নেই।
এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে জিমনেশিয়াম থাকবে না, এটা মেনে নেওয়া যায় না। ক্যাম্পাসে আমদের খেলাধুলার জায়গা নেই। ধূপখোলায় একমাত্র যে মাঠটি ছিল, সেটিও সিটি করপোরেশন দখল করে নিল। এখন ক্যাম্পাসে একটি জিমনেশিয়ামের ব্যবস্থা থাকলে আমরা সেখানে শরীরচর্চা করতে পারতাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সালেহ আতিফ ক্ষোভ প্রকাশ করে জাগো নিউজকে বলেন, নাই নাই শব্দটা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমার্থক শব্দ হয়ে গেছে। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নূন্যতম যেসব সুযোগ সুবিধা ও পড়াশোনার পাশাপাশি অন্যান্য সুবিধা থাকার কথা, সেগুলোর ব্যপারে একদমই উদাসীন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শেষ সম্বল একটি মাঠ ছিল সেটিও বেদখল। এখন সবার দাবি একটি উন্নত মানের জিমনেসিয়াম। এটা শিক্ষার্থীদের নানা সীমাবদ্ধতার ভেতরে কিছুটা মানসিক শক্তি যোগাবে।
জবির সাত দফা আন্দোলনের সমন্বয়ক তৌসিফ মাহবুব সোহান জাগো নিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত শরীরচর্চার জন্য জিমনেসিয়াম আবশ্যক। কিন্তু জবিতে জিমনেসিয়াম তো দূরে থাক, সামান্য শরীরচর্চার জায়গাও নেই। জায়গার অভাব দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের এসব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে বারবার। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদিচ্ছায় নতুন বিল্ডিংয়ের এক ফ্লোরেও জিমনেসিয়ামের ব্যবস্থা করা যায়।
শরীর চর্চা শিক্ষা কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক গৌতম কুমার দাস জাগো নিউজকে বলেন, আমরা এটার জন্য উপাচার্য স্যারের কাছে দাবি জানিয়েছি। নতুন ক্যাম্পাসে আমাদের একটি মাঠ থাকবে, সেখানে আলাদা অফিস থাকবে, শরীর চর্চার রুম থাকবে। এর মাঝে ক্যাম্পাসে যেন শিক্ষার্থীদের জন্য ফিজিক্যাল ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা ব্যবস্থা করা হয় সেই দাবি জানাবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক জাগো নিউজকে বলেন, আস্তে আস্তে সব হবে। জিমনেশিয়াম করার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা দরকার। ক্যাম্পাসে জায়গা সংকট। নতুন ক্যাম্পাসে খেলার মাঠ হচ্ছে। তোমরা ধৈর্য ধর, সব হবে।
রায়হান/এমএইচআর/এমএস