গেস্টরুম নির্যাতনবিরোধী আইন চায় ছাত্র অধিকার পরিষদ

গেস্টরুমে নির্যাতনবিরোধী আইন পাস ও ডাকসুসহ সব ছাত্র সংসদের নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে  এ দাবিগুলো জানায় ছাত্র সংগঠনটি।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের শিক্ষার্থীরা আবাসিক হলগুলোকে টর্চার সেলে পরিণত করেছে। ছাত্রলীগ আজ ছাত্রদের দানবে পরিণত করার ছাত্র সংগঠনে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে হলগুলোতে যেই অবস্থা বিরাজমান আছে, আইয়ুব খানের আমলেও হলগুলো এর চেয়ে ভাল অবস্থা ছিল। আইয়ুব খানের আমলে ভাল রেজাল্ট করলে সিঙ্গেল সিট পাওয়া যেত, আর এখন পায় রাজনৈতিক নেতারা। সেন্ট্রাল লাইব্রেরিতে শিক্ষার্থীরা পড়ার জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা এমন হতে পারে না।

অভিযোগ করে তিনি বলেন, কথা ছিল এ সরকার ঘরে ঘরে চাকরি দেবে, কথা ছিল বেকার ভাতা দেবে। অথচ বেকার শিক্ষার্থীদের আজ ৭০০-৮০০ টাকা দিয়ে একেকটা চাকরির আবেদন করতে হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদিব বলেন, একটা বিশ্ববিদ্যালয় একটি দেশের আয়নার মতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে তাকালেই ওই দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক সার্বিক সব কিছুর স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। ঢাবিতে সবাই চান্স পায় না। একটা গ্রামের যে আইডল হিসেবে পরিচিত সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পায়। একটা ছেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক স্বপ্ন নিয়ে ঢাবিতে আসে। কিন্তু এরপর তার ওপর ইমিডিয়েট সিনিয়ররা যে নির্যাতন চালায়, তাতে আস্তে আস্তে তার স্বপ্নগুলো ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্যাতনের মূলে থাকে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রনেতারা।

ছাত্র অধিকার পরিষদের দাবি গুলো হলো-

১.ডাকসুসহ সব ছাত্র সংসদ কার্যকর করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

২.হলগুলোতে ছাত্র সংগঠনগুলোর দখলদারিত্ব বন্ধ করে প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় সিট বণ্টন নিশ্চিত করতে হবে।

৩. গেস্টরুম নির্যাতনবিরোধী আইন পাস করতে হবে।

৪.লাইব্রেরিতে আসন সংখ্যা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

৫.সব ধরনের চাকরির আবেদন ফি বাতিল করতে হবে।

জাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন

সমাবেশ শেষে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুনসহ একটি মিছিল বটতলা থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যে গিয়ে শেষ হয়।

আল সাদী ভূঁইয়া/আরএডি/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।