নোয়াখালী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
শৃঙ্খলাবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) ১৪ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে৷ এছাড়া আরও ১১ শিক্ষার্থীকে জরিমানা এবং সতর্কীকরণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল বাকীরের সই করা এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, ২২ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজনকে একবছরের জন্য বহিষ্কার এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বাকি একজনকে দেড় বছর বহিষ্কার ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন- বিবিএ বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী আরাফাতুল ইসলাম মুবিন, ফার্মেসি বিভাগের ২০৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী রূপক পাল, অ্যাপ্লাইড ম্যাথ বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী শাহ নেওয়াজ, ফার্মেসি বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী আল আমিন ব্যাপারী। এছাড়াও ১০ জনকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং একজনকে সতর্কীকরণ করা হয়েছে।
১১ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী তৌফিক আহমেদ খানকে মারধরের ঘটনায় তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। শিক্ষা বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী নাঈম মোস্তফাকে একবছর, বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী তামিম ইবনে মাহবুবকে ছয় মাস এবং বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ সেশনের আরেক শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান অর্পনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
মারামারি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থী মৃন্ময় কৃষ্ণ সাহা সৌরভকে ১ বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত বছরের ২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাসনালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংগঠিত মারামারি এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া শৃঙ্খলা বোর্ডের সভায় পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় বিভিন্ন বিভাগের মোট ছয় শিক্ষার্থী বহিষ্কার হন। তাদের সেমিস্টারের সব পরীক্ষা বাতিলসহ ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এসজে/জিকেএস
