বাকৃবিতে বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি নিয়ে কর্মশালা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) চলমান গবেষণা প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য বার্ষিক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) তত্ত্বাবধানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলন কক্ষে দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
বাউরেসের পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহফুজা বেগমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালটির উদ্বোধন করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামছুল আলম। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পরিচালক ড. দেবাশিষ সরকার এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ড. সী জাউসীন।
কর্মশালায় অধ্যাপক ড. শামছুল আলম বলেন, জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তন কৃষি উৎপাদনে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে থাকে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের পাশাপাশি বহুস্তরীয় চাষাবাদ, আধুনিক প্রযুক্তি, গ্রীনহাউস এবং জলবায়ু নিয়ন্ত্রিত কৃষি উৎপাদনের দিকে আমাদের ধাবিত হতে হবে।

বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে দেশে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে টিকিয়ে রাখতে স্মার্ট কৃষি গ্রাজুয়েট এবং স্মার্ট কৃষক তৈরির কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ আজ যে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে, এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে বাকৃবির গ্র্যাজুয়েটরা। বাকৃবি গবেষকদের গবেষণালব্ধ ফলাফল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রসারণ কেন্দ্রের (বাউএক) মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিলে বাংলাদেশের কৃষি আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
দুই দিনব্যাপী এ কর্মশালায় মোট ২০টি সেশন ও দুটি পোস্টার উপস্থাপনা সেশন অনুষ্ঠিত হবে। টেকনিক্যাল সেশনে প্রায় ৬০১ টি গবেষণা প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপন করা হবে। উন্নত মানের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টর জার্নালে আর্টিকেল প্রকাশ করায় প্রকাশনা খরচ বাবদ ৬১ জন গবেষককে মোট ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার চেক দেওয়া হবে।
এছাড়াও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদীয় ডিন, বিভাগীয় প্রধান, শাখা প্রধানসহ শিক্ষক, গবেষক ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
আসিফ ইকবাল/এনআইবি/জেআইএম