বাকৃবিতে মাসে সাড়ে ২৬ লাখ টাকার সিগারেট বিক্রি!

আসিফ ইকবাল
আসিফ ইকবাল আসিফ ইকবাল , বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) বাকৃবি
প্রকাশিত: ০৪:০৭ পিএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২৫
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সিগারেটের নিয়মিত ক্রেতা বহিরাগতরাও

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) চলছে সিগারেটের রমরমা ব্যবসা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল এবং আশপাশের দোকানগুলোতে প্রতিদিন সিগারেট বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৮ হাজার টাকারও বেশি। মাসের হিসেবে যা দাঁড়ায় ২৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরের বিভিন্ন টং দোকান এবং আবাসিক হলের ক্যান্টিনগুলোতে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সিগারেটের নিয়মিত ক্রেতা বহিরাগতরাও।

বিশেষ করে ক্লাস শেষে বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত দোকানগুলোতে চলে সিগারেট বেচাকেনা।

বাকৃবিতে মাসে সাড়ে ২৬ লাখ টাকার সিগারেট বিক্রি!

ছেলেদের ৯টি আবাসিক হলের ক্যান্টিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, হলগুলোতে দৈনিক ২২ হাজার টাকারও বেশি সিগারেট বিক্রি হয়। সিগারেটের ক্রেতা শিক্ষার্থী এবং হলের স্টাফরা।

বেশ কয়েকটি হলের ক্যান্টিনের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শিক্ষার্থীরা যদি ১০ টাকা খাবারের পেছনে খরচ করেন, ৩০ টাকা খরচ করেন সিগারেটের পেছনে। ক্যান্টিনে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় সিগারেট।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জব্বারের মোড়ে ২৪টি টং ও দোকানে সিগারেট বিক্রি হয়। দৈনিক বিক্রি হয় ৩৭ হাজার টাকার সিগারেট। অন্যদিকে কামাল রঞ্জিত মার্কেটের পাঁচটি দোকানে দৈনিক গড়ে প্রায় ছয় হাজার, ফসিলের মোড়ের পাঁচটি দোকানে ১২ হাজার, নদীর পাড়ে এক হাজার এবং শেষ মোড়ের কয়েকটি দোকানে দৈনিক গড়ে ৯ হাজার টাকার সিগারেট বেচাকেনা হয়। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রির মোড়, ডেইরি ফার্ম, ফিশারিজ মোড়ের দোকানগুলোতে সিগারেট বিক্রি হলেও শিক্ষার্থীদের আনাগোনা কম থাকায় তা গণনায় উল্লেখ করা হয়নি।

বাকৃবিতে মাসে সাড়ে ২৬ লাখ টাকার সিগারেট বিক্রি!

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফসিলের মোড়ের একজন দোকানি জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট বিক্রি হয়। তবে দাম বাড়ার পর থেকে বিক্রি কিছুটা কমে গেছে।

একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘ছাত্রলীগ থাকাকালীন শিক্ষার্থীরা সিগারেট বেশি খেতো। যদিও এখন অনেক কমে গেছে। মূলত হলে বড় ভাইদের দেখাদেখি এবং খারাপ বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে সিগারেট খাওয়া শেখে শিক্ষার্থীরা।’

এ বিষয়ে বাকৃবির হেলথ কেয়ার সেন্টারের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. আবুল কালাম মোহাম্মদ আজাদ বলেন, ধূমপান এক ধরনের অপচয় ছাড়া আর কিছুই নয়। ধূমপান একাধারে শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক ক্ষতির কারণ। ধূমপান আসক্তি ধীরে ধীরে মানুষকে অন্যান্য মাদকদ্রব্যের দিকে ধাবিত করে। যেহেতু সিগারেট বিক্রি সরকারিভাবে নিষিদ্ধ নয়, তাই এগুলোর বিক্রি বন্ধ করাও সম্ভব না।

বাকৃবিতে মাসে সাড়ে ২৬ লাখ টাকার সিগারেট বিক্রি!

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত শিক্ষার্থীদের মাঝে ধূমপানের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরা, ধূমপান না করতে মোটিভেট করা, ধূমপানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণা চালানো।

আসিফ ইকবাল/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।