গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাজীপুর
প্রকাশিত: ০২:৪১ পিএম, ১৭ মার্চ ২০২৫

গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া এলাকায় বকেয়া বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন পোশাক কারখানার শ্রমিকরা।

সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে মীম ডিজাইন কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। একপর্যায়ে তারা সড়ক অবরোধ করেন। পরে সেনাবাহিনীর সদস্যদের হস্তক্ষেপে প্রায় ২ ঘণ্টা পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গত মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ভোগড়া এলাকায় অবস্থিত মীম গার্মেন্টসের শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। এছাড়াও আশপাশের কয়েকটি কারখানায় ঢিল ছুড়ে ও ভাঙচুরের চেষ্টা করে অন্যান্য কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভে যোগ দিতে বলেন তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের ধাওয়া করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

শ্রমিকদের অভিযোগ, ফেব্রুয়ারির বেতন এখনো তারা পাননি। বাড়িভাড়া দিতে পারছে না তারা। এতে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। মালিকপক্ষ শুধু আশ্বাস দিচ্ছে, কিন্তু টাকা দিচ্ছে না। বেতন ছাড়া সংসার চালবে কীভাবে, প্রশ্ন করেন তারা।

গাজীপুরে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

শ্রমিকরা আরও বলেন, বাচ্চার স্কুলের বেতন দিতে পারিনি, দোকানে ধার নিয়েছি। এখন তারাও আর বাকিতে কিছু দিচ্ছে না। আমরা পরিশ্রম করি, অথচ সময়মতো বেতন পাই না। বাধ্য হয়েই আজ রাস্তায় নামতে হয়েছে।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) ওয়াহিদুজ্জামান রাজু জানান, শ্রমিকরা বেতনের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় প্রায় ২০ মিনিট মহাসড়ক অবরোধ ছিল। বিক্ষোভের পর ঘটনায় ১০-১২টি কারখানায় এদিনের মতো ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।

গাজীপুর শিল্পাঞ্চল-২ এর পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম বলেন, মীম গার্মেন্টস্ এর শ্রমিকরা অবরোধের সময় পাশের শ্রমিকদের ডেকে নিয়ে আসেন। এসময় প্রায় ১০টির মতো কারখানার শ্রমিকরা বেরিয়ে আসেন। পরে সমঝোতার ভিত্তিতে শ্রমিকরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।

মো. আমিনুল ইসলাম/এমএন/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।