জামালপুরে বন্ধু হত্যায় একজনের যাবজ্জীবন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
প্রকাশিত: ০৬:১৬ পিএম, ২২ এপ্রিল ২০২৫

জামালপুরে বন্ধু হত্যায় হাফিজুর রহমান নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় চারজনকে খালাস দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. আবুবকর ছিদ্দিক এ রায় ঘোষণা করেন।

হাফিজুর রহমান সরিষাবাড়ী উপজেলার ঢুরিয়াভিটা গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালের ২৩ মে বিকেলে সরিষাবাড়ী উপজেলার ঢুরিয়াভিটা গ্রামের হাফিজুর রহমান বাল্যবন্ধু মোজাম্মেল হককে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে মোজাম্মেল হক নিখোঁজ ছিলেন।

পরদিন জামালপুর সদর উপজেলার মেস্টা ইউনিয়নের হাসিল পারিল গৌরিপুর গ্রামে কাঁচা রাস্তার ওপর একটি মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে অজ্ঞাত পরিচয়ে দাফন করে। ২৫ মে জামালপুর সদর থানায় পুলিশ মামলা করে। মোজাম্মেল হক মোজাফফরকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তার ভাই শাহজাহান ১৯৯৩ সালের ২৮ মে মেস্টা ইউনিয়নে মরদেহ পাওয়ার খবর পান। তিনি থানায় গিয়ে নিহতের ছবি ও জব্দ মালামাল দেখে তার ভাইকে শনাক্ত করেন।

পরে ১৯৯৫ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। ২০০০ সালের ১১ অক্টোবর ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র গঠিত হয়। মামলায় ৩১ জনের মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার বিচারক রায় ঘোষণা করেন।

সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় সরিষাবাড়ী উপজেলার ঢুরিয়াভিটা গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে হাফিজুর রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রায় ঘোষণার সময় আসামি উপস্থিত না থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। বাকি চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছে। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালত অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট এ কে এম নাজমুল হুদা।

কাওসার সৌরভ/আরএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।