কুষ্টিয়ায় সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ০৯:১৯ পিএম, ২১ মে ২০২৫

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর গড়াই নদীর ওপর নির্মিত সৈয়দ মাসুদ রুমি সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২১ মে) বিকেল সাড়ে ৩টায় কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন গোলচত্বর এলাকায় আয়োজিত মানববন্ধনের ছাত্র-জনতা অংশ নেয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমারখালীর আহ্বায়ক আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আফজাল হুসাইন, কুষ্টিয়া শহর ছাত্র শিবিররে সভাপতি হাফেজ সেলিম রেজা, কুমারখালী প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মাহমুদ খান, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুষ্টিয়ার মুখপাত্র পারভেজ মোশাররফ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা মুশফিকুর রহমান তিহা ও নয়ন হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কুষ্টিয়ায় সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ২০০৪ সালে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করে সওজ। ২০০৫ সাল থেকে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ইজারাদারের মাধ্যমে টোল আদায় করা হয়। তবে সেতু নির্মাণের পর তিনগুণ টাকা টোল আদায় হয়েছে। তবুও ফ্যাসিবাদীরা টোলের নামে জনগণের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিল। সে জন্য গত বছর ৫ আগস্ট জুলাই বিপ্লবের পর ছাত্রজনতা টোল আদায় বন্ধ করে দেন। সম্প্রতি টোল আদায়ের পাঁয়তারা করছেন ফ্যাসিবাদী সরকারি কর্মকর্তা। তবে স্থায়ীভাবে টোল বন্ধের দাবি জানান বক্তারা।

সওজ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত বছরের ৭ আগস্ট সকালে টোল আদায় বন্ধের দাবিতে টোলপ্লাজায় আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধরা। সে সময় টোলপ্লাজা ছেড়ে পালিয়ে যান আদায়কারী। ১৩ আগস্ট সওজ কর্তৃপক্ষ টোল আদায় করতে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা বাধা দেয়। এরপরও কয়েক দফা হামলা হয়েছে। নিরাপত্তার অভাবে সেখান থেকে চলে আসেন কর্মকর্তারা। এরপর থেকে টোল আদায় বন্ধ রয়েছে। এতে সরকার প্রতিদিন তিন-চার লাখ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানান কুষ্টিয়া সওজ কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি সেতুর টোল আদায়ের জন্য আবারও দরপত্র আহবান করেছে সওজ।

আল-মামুন সাগর/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।