চাঁপাইনবাবগঞ্জ

বৃষ্টিতে পানিতে পচে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে শতবিঘা জমির ধান

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৪:২৯ পিএম, ২৭ মে ২০২৫
জমিতেই পচে নষ্ট হচ্ছে ধান/ছবি: জাগো নিউজ

টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় তলিয়ে গেছে চাঁপাইনবাবঞ্জের বরেন্দ্র অঞ্চলের শতবিঘা জমির পাকা বোরো ধানের ক্ষেত। গত কয়েকদিনের একটানা বৃষ্টির কারণে ধান কেটে ঘরে তুলতে পারছেন না কৃষকরা। এতে জমিতেই পচে নষ্ট হচ্ছে এসব ধান।

অনেক এলাকায় ধান কাটার জন্য মিলছে না শ্রমিক। নিচু জমিতে জমে গেছে হাঁটু-কোমর পানি। পাকা ধানে বীজ গজাতেও শুরু করেছে। এতে ব্যাপকভাবে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

মঙ্গলবার (২৬ মে) দুপুরে জেলার সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের কাকমারির বিলে গিয়ে দেখা যায়, টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় তলিয়ে গেছে এখানকার প্রায় ১০০ বিঘা জমির ধান। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন কৃষকরা।

বৃষ্টিতে পানিতে পচে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে শতবিঘা জমির ধান

আলী হোসেন নামের একজন কৃষক বলেন, ‌‘৯ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছিলাম। এরমধ্যে দুই বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে তুলতে পেরেছি। বাকি সাত বিঘা জমির ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় ধান কাটা যাচ্ছে না। ধানের জমিতে এখন হাঁটু-কোমর সমান পানি।’

আনারুল ইসলাম নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছিলেন। কিন্তু বৃষ্টির পানিতে সব তলিয়ে গেছে। এতে জমিতেই ধানের বীজ গজাতে শুরু করেছে।’

বৃষ্টির পানিতে তিন বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়েছে কৃষক মোস্তাফিজুর রহমানের। তিনি বলেন, ‘এসব ধানে বীজ গজাতে শুরু করেছে, তাই বাজারে বিক্রি হবে না। কারণ এসব ধানের চালে গন্ধ হতে পারে। এসব ধানের বীজও হবে না। তাই ফেলে দেওয়া ছাড়া উপায় নেই। এতে আমার অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।’

বৃষ্টিতে পানিতে পচে ক্ষেতেই নষ্ট হচ্ছে শতবিঘা জমির ধান

এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক ড. ইয়াসিন আলী জাগো নিউজকে বলেন, কয়েকদিনে জেলায় ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এতে জেলা সদর, নাচোল, গোমস্তাপুর, ভোলাহাটের বেশ কিছু জমির ধান নষ্ট হয়েছে। খুব শিগগির ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে পাঠানো হবে। প্রণোদনার মাধ্যেমে তাদের সহায়তা করা হবে।

সোহান মাহমুদ/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।