উপদেষ্টা ফাওজুল কবির

শ্রমিক ধরে লাভ নেই, মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ০৩:৫০ পিএম, ১১ জুন ২০২৫

অবৈধ ড্রেজার চালানোর কারণে পদ্মা নদীর আশপাশে ভাঙন দেখা দিয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এসময় তিনি এসব ড্রেজারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানান। একই সঙ্গে ড্রেজার পরিচালনায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) জনস্বার্থবিরোধী কোনো অনুমতি দিয়ে থাকলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

বুধবার (১১ জুন) দুপুর ১২টার দিকে জাজিরায় পদ্মা সেতু রক্ষা বাঁধের ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, নদীভাঙনের কারণ হলো নদীর গতিপথ পরিবর্তন ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। ড্রেজার চালানোর ফলে পদ্মা নদীর আশপাশের এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছি। তবে জেলা প্রশাসনের লোকজন ড্রেজার শ্রমিকদের ধরেন। তাদের ধরে লাভ নেই। আমরা তাকে বলেছি ড্রেজারগুলো আটকাতে হবে এবং দখল ও জব্দ করে মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এটা বন্ধ করা না গেলে বাঁধ দিলেও সমস্যার সমাধান হবে না। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী, কোস্টগার্ডকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে নদীভাঙন রোধ করা হবে।

বালু উত্তোলনে জেলা প্রশাসকের অনুমতি থাকার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, জেলা প্রশাসকের অনুমতি রয়েছে কি না আমরা বিষয়টি দেখবো। জেলা প্রশাসক যদি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও জনস্বার্থবিরোধী অনুমতি দিয়ে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে ভাঙন ঠেকাতে দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কথা জানিয়েছেন অর্থ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ভাঙনকবলিত জায়গায় ভাঙন ঠেকাতে জিওব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। এছাড়া এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সেতু বিভাগের সমীক্ষার পর ফলাফল এবং নকশা অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মাদ তারেক হাসানসহ অন্যরা।

বিধান মজুমদার অনি/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।