দক্ষিণের ১২ নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে
অমাবস্যার প্রভাবে বরিশালের কীর্তনখোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ১২টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরও কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
রোববার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম।
তিনি জানান, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি নদীর পানিপ্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। এর মধ্যে সবশেষ শনিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার রিপোর্ট অনুযায়ী, দক্ষিণাঞ্চলের ১২টি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে বিভাগের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বহু মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বরিশাল জেলার কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার, ঝালকাঠির বিষখালী পয়েন্টে ১৬ সেন্টিমিটার, বরগুনার বেতাগী উপজেলার বিষখালী পয়েন্টে ২২ সেন্টিমিটার, ভোলার দৌলতখান উপজেলার সুরমা-মেঘনা পয়েন্টে ৩৯ সেন্টিমিটার, ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা-মেঘনা পয়েন্টে ৯২ সেন্টিমিটার, ভোলার খেয়াঘাট তেঁতুলিয়া পয়েন্টে পাঁচ সেন্টিমিটার, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার বুড়িশ্বর/পায়রা পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার, বরগুনার বিষখালী পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলার বিষখালী পয়েন্টে ২৮ সেন্টিমিটার, উমেদপুর পয়েন্টে কচা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার, পিরোজপুরের বলেশ্বর পয়েন্টে ২৩ সেন্টিমিটার এবং হিজলা উপজেলার ধর্মগঞ্জ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, অমাবস্যার প্রভাবে নদীর পানি বেড়েছে। তবে বন্যার কোনো প্রভাব নেই।
শাওন খান/এসআর/এমএস