বিপৎসীমায় তিস্তার পানি, বন্যার শঙ্কা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ০৯:৪৬ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২৫
তিস্তার ডালিয়া পয়েন্ট/ছবি-জাগো নিউজ

উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টির কারণে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার বরাবর প্রবাহিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এতে লালমনিরহাট জেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

সন্ধ্যা ৬টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানির সমতল ছিল ৫২.১৫ মিটার, যা বিপৎসীমা (৫২.১৫ মিটার) বরাবর রেকর্ড করা হয়।

কাউনিয়া পয়েন্টে পানির সমতল ছিল ২৮.৭২ মিটার (বিপৎসীমা ২৯.৩০ মিটার)। অর্থাৎ বিপৎসীমার ৫৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। অন্যদিকে ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

বিকেল ৩টা পর্যন্ত তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি ছিল বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার নিচে। আর কাউনিয়া পয়েন্টে ছিল ৬৩ সেন্টিমিটার নিচে। তিন ঘণ্টার ব্যবধানে ডালিয়া পয়েন্টে পানির উচ্চতায় উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে।

তিস্তার পানি বাড়ায় লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। পাটগ্রামের দহগ্রাম, গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, আদিতমারীর মহিষখোচা, গোবর্ধন, কালমাটি, বাহাদুরপাড়া, পলাশী ও সদর উপজেলার ফলিমারী, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর, বড়বাড়ী ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার রায় জানান, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। তবে এটি দীর্ঘস্থায়ী বন্যা হবে না বলেও তিনি আশ্বস্ত করেছেন। তিস্তার পানি আজ রাতের মধ্যে ২০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে তিনি জানান।

মহসীন ইসলাম শাওন/এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।