ইজিবাইকচালক হত্যা: তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি যশোর
প্রকাশিত: ০৮:৫৪ পিএম, ০৩ আগস্ট ২০২৫
নিহত আল আমিন

 

মাগুরায় ইজিবাইকচালক আল আমিন হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অপর একজনকে দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

রোববার (৩ আগস্ট) বিকেলে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক জয়ন্তী রাণী দাস এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মাগুরা শালিখা উপজেলার রামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর খানের ছেলে জুয়েল খান, সেলিম হোসেনের ছেলে হারুন অর রশীদ ও যশোর সদরের মথুরাপুর গ্রামের হযরত আলীর ছেলে আলামিন।

আর কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন পিরোজপুর সদরের সবুজনগর গ্রামের সুলতান মল্লিকের ছেলে রাসেল মোল্যা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপি এসএম আব্দুর রাজ্জাক।

আসামিদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হারুন অর রশীদ কারাগারে আছেন। অপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জুয়েল কারাগার থেকে আদালতে হাজিরা দিতে এসে সম্প্রতি কোর্ট পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে যান। আর জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক আছেন আরেক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আলামিন। এছাড়া সাজাপ্রাপ্ত রাসেল মোল্যা কারাগারে আটক রয়েছেন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, মাগুরা শালিখা উপজেলার হরিশপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে আল আমিন ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর বিকেলে তিনি বাড়ি থেকে ইজিবাইক নিয়ে বের হন। রাতে আর বাড়ি ফেরেননি। দুপুরে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে আল আমিনের স্বজনের জানতে পারেন, তার ইজিবাইক যশোর চাঁচড়া ফাঁড়ি পুলিশ উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে বাঘারপাড়ার বুধোপুর গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে আল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় ১১ ডিসেম্বর নিহত আল আমিনের বাবা মোস্তাফিজুর রহমান বাঘারপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরপর ২৫ ডিসেম্বর হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ওই চারজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৪ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হরষিত রায়।

এরপর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ রায় দেন।

মিলন রহমান/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।