ক্যানসার আক্রান্ত ছেলেকে বাঁচানোর আকুতি দিনমজুর বাবার

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি গাইবান্ধা
প্রকাশিত: ০৯:২৯ এএম, ১৩ আগস্ট ২০২৫

পাড়ার অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলায় মেতে থাকতো ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর। স্কুলে যেত, প্রতিবেশীদের সঙ্গে আনন্দে মেতে থাকতো সবসময়। তার উচ্ছলতায় ভরে থাকতো পুরো বাড়ি। সেই প্রাণবন্ত ছোটাছুটি এখন বন্দি চার দেওয়ালে। চোখের জলে ভেসে গেছে মুখের হাসি।

এ গল্প গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের উত্তরসাহাবাজ মাস্টারপাড়া গ্ৰামের রুবেল মিয়ার। টিউমার থেকে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ছটফট করছে এ কিশোর। প্রায় দুই বছর ধরে ঘুরছে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে। রুবেল কাঠগড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র। রুবেলের বাবা রফিকুল ইসলাম পেশায় দিনমজুর। সন্তানের চিকিৎসা খরচ জোগাতে না পেরে সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আবেদন করেছেন তিনি।

অসুস্থ রুবেলের বেঁচে থাকার আকুতি তুলে ধরে বাবা রফিকুল ইসলাম জানান, শরীরের ব্যথা-যন্ত্রণায় সারাক্ষণ কাঁদতে থাকে রুবেল। মাঝেমধ্যে বিছানায় ছটফট করে বলে, ‘বাবা, আমি কি আর স্কুলে যেতে পারব না? বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে পারবো না? আমি কি মরে যাব? ডাক্তার যে বলছে, চিকিৎসা চালিয়ে যেতে না পারলে বাঁচানো যাবে না! আমি তোমাদের কোলেই থাকতে চাই। আর দুষ্টুমি করব না, তোমরা আমাকে বাঁচাও।’

রফিকুল ইসলাম জানান, স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে কোনোরকম চলে যাচ্ছিল। বড় সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়লে চোখেমুখে অন্ধকার দেখেন। প্রতিবেশী এগিয়ে আসে, চাঁদা তুলে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। তাতে কিছুদিন চিকিৎসা চলে। কিন্তু দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টায় নিজের যা ছিল তা শেষ করেও বহু টাকা ঋণ হয়ে গেছে। এখন অর্থাভাবে চিকিৎসা থমকে আছে। নিরুপায় হয়ে সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহায়তা কামনা করেছেন দিনমজুর রফিকুল ইসলাম। ক্যানসারে আক্রান্ত কিশোর রুবেল সিরাজগঞ্জ খাজা ইউনুস আলী ক্যানসার মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।

আনোয়ার আল শামীম/এমএন/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।