খুলনার বাজারে বেড়েছে সবজি-মাছের দাম
খুলনার বাজারে সবজি ও মাছের দাম বেড়েছে। সবজিতে ১০-১৫ টাকা ও সব ধরনের মাছে ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে দাম কমছে না বলে দাবি সাধারণ ব্যবসায়ীদের।
রোববার (২৪ আগস্ট) খুলনার গল্লামারি, নতুন বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, জোড়াকল ও খালিশপুর বাজার ঘুরে দেখা যায়, পুঁইশাক ৪০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, পটোল ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, করোলা ৮০ টাকা, লাউ ৬০-৭০ টাকা প্রতি পিস, লাল শাকের কেজি ৪০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ২০০-২৫০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ টাকা কেজি, আলু ২৫ টাকা, কাঁচকলা ৪০ টাকা হালি ও শসা ৭০-৮০ টাকা কেজি, কুশি ১০০ টাকা কেজি, ধুন্দল ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৭০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ২৮০-২৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে কই মাছ ২০০-২৫০ টাকা কেজি, রুই মাছ ৩০০--৩৫০ টাকা, টেংরা ৫০০-৫৫০, পাবদা ৩৫০-৪০০, চিংড়ি ৫০০-৬০০ টাকা, ছোট মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০-২২০ টাকা, ভেটকি মাছ ৪০০-৫০০ টাকা এবং পাঙাশ মাছ ১৮০-২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জোড়াকল বাজারের সবজি বিক্রেতা সাইদুল সরদার বলেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজি কম আসছে। এ জন্য দাম একটু বেশি। অনেক সবজি আমরাও কিনতে পারছি না। ক্রেতারা দাম শুনলে আর কিনতে চায় না। বৃষ্টির কারণে ব্যবসা একটু খারাপ যাচ্ছে।
গল্লামারি বাজারের মাছ বিক্রেতা হামিদ গাজী বলেন, ‘বাজারে সবকিছুর দাম বাড়ছে। এজন্য মাছের দামও বাড়ছে। ২০০ টাকার মধ্যে সাগরের মাছ পাওয়া যেতো। এখন তার দামও কেজিতে ৫০-৮০ টাকা বেড়েছে। আর বৃষ্টির কারণে পরিবহন খরচ বেড়েছে। তার একটা প্রভাবও মাছের দামে পড়েছে।’
জোড়াকল বাজারে আসা মাকসুদা খাতুন বলেন, ‘১০০ টাকায় দুই পদের সবজি কিনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সবজি কিনতে যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে বাজার খরচ সাধারণ মানুষের চলছে কী করে সেটি আমরাই বুঝতেছি। ডিমের দামও হালিতে ৮ টাকা বেড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ না করলে সামনে ভয়াবহ পরিস্থিতি দাঁড়াবে।’

মিস্ত্রিপাড়া বাজারে আসা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বাজারে সবজি ও মাছের দাম আমাদের হিসাবের বাইরে চলে গেছে। সব সবজির দাম দিগুণ হয়ে গেছে। ৬০-৭০ টাকার নিচে কোনো সবজি নাই। আর মাছের দাম তো শুনলে মুখ ফিরিয়ে চলে যেতে হচ্ছে।’
খুলনা ট্রাকস্ট্যান্ড কেসিসি পাইকারি কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী আজমল হক বলেন, ‘দেড় মাস ধরে সবজির সরবরাহ অনেকটা কমে গেছে। এজন্য অনেক সবজির দাম বেড়েছে। আসলে বৃষ্টির কারণে আগের মতো ট্রাক ভরে সবজি আসছে না ‘
খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, ‘সাধারণ মানুষ সবজিসহ নিত্যপণ্য কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। দাম বৃদ্ধির কারণ খুঁজে বের করে তার ব্যবস্থা নিতে হবে। মানুষের মাথাপিছু আয়ের থেকে ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি ভালো লক্ষণ না।’
আরিফুর রহমান/আরএইচ/জেআইএম