পাবনায় ট্রিপল মার্ডার মামলার রায়, পালক ছেলের মৃত্যুদণ্ড

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পাবনা
প্রকাশিত: ০৪:৪৬ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২৫

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারে অভিযুক্ত পালক ছেলে তানভীর হোসেন মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. তানভীর আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত তানভীর নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার হরিপুর গ্রামের মৃত হাতেম আলীর ছেলে তানভীর। তিনি তৎকালে পাবনা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন মসজিদের ইমাম ছিলেন।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর গোলাম সরোয়ার খান জুয়েল বলেন, ২০২০ সালের ৩১ মে গভীর রাতে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালংকার লুটের জন্য তানভীর পালক বাবা, মা ও বোনকে ধারালো অস্ত্রের সাহায্যে নৃশংসভাবে হত্যা করে। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে তাকে তিনটি মৃত্যু দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার ও তার স্ত্রী ছুম্মা খাতুন নিঃসন্তান ছিলেন। তিনি একদিন বয়সী শিশু সানজিদাকে দত্তক নিয়েছিলেন। এরপর বাসার পাশের ফায়ার সার্ভিস স্টেশন মসজিদের ইমাম তানভীরকে ছেলে সন্তান হিসেবে আপন করে নেন ওই দম্পতি। তানভীরও তাদের বাবা-মা হিসেবে ডাকতেন। আব্দুল জব্বার ব্যাংক, পোস্ট অফিসে টাকা লেনদেনেও তাকে সঙ্গে নিয়ে যেতেন। সেখান থেকে জব্বারের টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কারের দিকে লোভ জমে। হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে।

২০২০ সালের ২৯ মে ছুটি নিয়ে হরিপুর গ্রামের বাড়ি চলে যায় তানভীর। ছুটি শেষ হওয়ার আগে ৩১ মে পাবনা ফিরে আসেন। ওইদিন রাতে ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল জব্বারের বাড়িতে অবস্থান নেন তানভীর। রাত ২টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় আব্দুল জব্বার, তার স্ত্রী ছুম্মা খাতুন ও মেয়ে সানজিদাকে (১২) কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে রক্তমাখা কাপড়-চোপড় ধুয়ে নগদ দুই লাখ টাকা, এক লাখ ভারতীয় রুপি ও স্বর্ণের গহনা নিয়ে বাসায় তালা দিয়ে সটকে পড়েন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল কাদের বাদী হয়ে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

আলমগীর হোসাইন নাবিল/আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।