১০ ঘণ্টা পর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

উপজেলা প্রতিনিধি উপজেলা প্রতিনিধি রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশিত: ০১:৫৯ এএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৮ কিলোমিটার এলাকায় যানজট সৃষ্টি হয়

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ১০ ঘণ্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ১২টার দিকে যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হয়। এর আগে বিকেল ২টা থেকে যানজট শুরু হয়। এতে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।

হাইওয়ে পুলিশ, যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিনে কাঁচপুরে মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার সময় সড়কের যানবাহন ধীর গতিতে চলতে হয়েছে। এছাড়া সড়কের বিভিন্ন অংশে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তে গাড়ি আটকে যাওয়াসহ বিভিন্ন কারণে দুপুর থেকেই যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে যায়। ফলে সড়কের উভয় দিকে মাইলের পর মাইল সড়ক জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়।

বুধবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া যানজট ছড়িয়ে পড়ে কাঁচপুর থেকে সেজান জুস এলাকা পর্যন্ত। সন্ধ্যার পরে যানজট বেড়ে ৮ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত হয়। ফলে উভয় দিকের যানবাহন চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে যাত্রী সাধারণ ও পরিবহন শ্রমিকদের। রাত ১২টার পর ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হয়।

শামীমা বেগম নামের এক যাত্রী বলেন, রাত্র সাড়ে আটটায় সিমরাইল থেকে বাসে উঠেছি। সাড়ে নয়টার দিকে বরপা পার হতে পারিনি। কখন যে পৌঁছাবো সে চিন্তায় আছি।

কথা হয় মাধবদী থেকে আসা যাত্রী রবিউলের সঙ্গে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, দুপুরে তারাবো বিশ্বরোড থেকে সেজান জুস পর্যন্ত এক ঘণ্টার জ্যাম ঠেলে বিশেষ কাজে মাধবদী গিয়েছিলাম। কাজ সেরে ফেরার পথে সেজান জুস থেকে জ্যামে পড়েছি। এখন রাত সাড়ে ১১টা বাজে, কখন গন্তব্যে পৌঁছাবো কিছুই বুঝতে পারছি না।

সিএনজি অটোরিকশাচালক বুলবুল মিয়া বলেন, দুপুর ২টা থেকে যানজটের সূচনা হয়। এই যানজট ধীরে ধীরে আট কিলোমিটার রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। যানজট না থাকলে ১০ ঘণ্টায় ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা রোজগার করতে পারতাম। যানজটের কারণে ট্রিপ না মারতে পারায় মাত্র ৩০০ টাকা আয় হয়েছে।

কাঁচপুর থেকে ভুলতা চলাচলকারী লেগুনা চালক মহাসিন মিয়া বলেন, যে সময়ে কাঁচপুর থেকে গাউছিয়া আমি পাঁচটা ট্রিপ মারতে পারতাম, সে সময়ের মধ্যে যানজট ঠেলে তিনটা ট্রিপ মারতে পেরেছি। রাত্র বাজে সাড়ে এগারোটা, এখনো যানজটে আটকে আছি।

ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ পরিদর্শক মুফাখখির উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, যানজট নিরসনে দুপুরের পর থেকে জেলা পুলিশের সদস্যদের সমন্বয়ে শিমরাইল, কাঁচপুর ও ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ একযোগে কাজ করছে। কিছুটা সময় লাগলেও হাইওয়ে পুলিশের প্রচেষ্টায় মহাসড়ক যানজটমুক্ত হয়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে এসেছে।

নাজমুল হুদা/কেএসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।