তিস্তার পানি কমে স্বস্তিতে স্থানীয়রা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ১০:১২ এএম, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টিতে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও আবার নেমে গেছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার এবং সকাল ৯টায় বিপৎসীমার ২৮ সেন্টিমিটার নিচে তিস্তার পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগে সোমবার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বন্যা নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।

এদিকে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী দুই দিন তিস্তার পানি বাড়তে পারে। একইসঙ্গে ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি সতর্কসীমার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। সকাল ৬টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচে থাকলেও সকাল ৯টায় তা নেমে আসে ১৭ সেন্টিমিটার নিচে।

অপরদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়। তবে রাতারাতি পানি নামতে শুরু করায় অনেক জায়গায় পানি কমে গেছে। বিশেষ করে পাটগ্রামের গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী ও ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈইলমারী ও নোহালী, আদিতমারীর মহিষখোচা, গোবর্ধন, কালমাটি, বাহাদুরপাড়া ও পলাশী এবং সদর উপজেলার ফলিমারী, খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, মোগলহাট, রাজপুর, বড়বাড়ী ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের পানি কমেছে।

তিস্তার পানি কমে স্বস্তিতে স্থানীয়রা

খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের নুরজাহান বেগম বলেন, হঠাৎ পানি বেড়ে গিয়ে অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়েছিল। আবার পানি নেমে গেছে, এতে আমরা স্বস্তি পেয়েছি। তবে বৃষ্টি এখনো অব্যাহত রয়েছে।

আদিতমারীর গোবরধন গ্রামের তোকদার হোসেন বলেন, গতকাল পানি আঙিনা পর্যন্ত উঠেছিল, সকালে দেখি সব নেমে গেছে। এখন পানি অনেক নিচে, তবে বৃষ্টি থামছে না।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুণীল কুমার বলেন, আগেই জানানো হয়েছিল ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। গতকাল তা ওপরে উঠলেও আবার নেমে গেছে। আপাতত উজানে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে না, তবে বৃষ্টিপাত চলমান রয়েছে।

মহসীন ইসলাম শাওন/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।