চীনের সামরিক তৎপরতা নিয়ে জাপান ও তাইওয়ানের উদ্বেগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:০৬ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
চীনের কোস্ট গার্ডের এক জাহাজ। ছবি: এএফপি (ফাইল)

তাইওয়ান এবং জাপান চীনের বাড়তি সামরিক তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। চীন এই সপ্তাহে পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন সাগরে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের অতিরিক্ত জাহাজ মোতায়েন করেছে— যা এখন পর্যন্ত বেইজিংয়ের সবচেয়ে বড় সামুদ্রিক শক্তি প্রদর্শন বলে মনে করা হচ্ছে।

গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী,এক সঙ্গে চীনের শতাধিক জাহাজ বিস্তৃত এলাকায় টহল দিচ্ছে।

তাইপেতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তাইওয়ান প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র কারেন কুও বলেন, চীনের কার্যক্রম শুধু তাইওয়ান প্রণালীতে সীমাবদ্ধ নয়। এটি ইয়েলো সি থেকে শুরু করে পূর্ব চীন সাগরের বিতর্কিত সেনকাকু দ্বীপের আশপাশ, দক্ষিণ চীন সাগর হয়ে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।

তিনি বলেন, এটি সত্যিই ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল এবং পুরো এলাকার জন্য হুমকি ও প্রভাব তৈরি করছে। আমরা বিশেষভাবে চীনকে একটি বড় শক্তি হিসেবে দায়িত্বশীল আচরণ ও সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাই।

কুও জানান, প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে নিরাপত্তা বাহিনীকে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ এবং সময়মতো তথ্য হালনাগাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, তাইওয়ান বন্ধুসুলভ অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ বজায় রেখে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করবে।

টোকিওতে জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি বলেন, জাপান চীনের এই গতিবিধি সম্পর্কে অবগত এবং গভীর মনোযোগের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। তবে তিনি নির্দিষ্ট মোতায়েন নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।

তিনি আরও বলেন, জাপানকে ঘিরে চীনের সামরিক তৎপরতা ক্রমশ বাড়ছে। আমরা নিয়মিত তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করছি এবং পরিস্থিতি ঘনিষ্ঠভাবে নজরদারি করছি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, নভেম্বর-ডিসেম্বর সাধারণত চীনের সামরিক মহড়ার ব্যস্ত মৌসুম হলেও পিএলএ বড় কোনো মহড়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি।

তবে সূত্রগুলো বলছে, এবারের মোতায়েন গত বছরের ডিসেম্বরের বিশাল নৌ তৎপরতার চেয়েও বড়— তখন তাইওয়ান সতর্কতা বাড়িয়েছিল।

এই সামরিক কর্মকাণ্ড এমন সময় বাড়ছে যখন চীন ও জাপানের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা তীব্র। গত মাসে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি বলেছিলেন, তাইওয়ানের ওপর চীনের সম্ভাব্য হামলা জাপানের সামরিক প্রতিক্রিয়া উসকে দিতে পারে।

এ ছাড়া তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তের সাম্প্রতিক ৪০ বিলিয়ন ডলারের অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা বাজেট ঘোষণায়ও চীন ক্ষুব্ধ হয়েছে। বেইজিং এখনো দ্বীপটিকে নিজের ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে, যা তাইওয়ান দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।

সূত্র: রয়টার্স

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।