ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ৬ কিলোমিটার যানজট
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জ অংশে ৬ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।
সোমবার (৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার যাত্রামড়া সংলগ্ন মহাসড়কে বড় একটি মালবাহী কভার্ডভ্যান বিকল হয়ে যানজট শুরু হয়। যা দুপুর গড়িয়ে বিকেল তিনটার দিকে যানজট বেড়ে ৬ কিলোমিটারে বিস্তৃত হয়।
যাত্রী, পরিবহন শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারাব বিশ্বরোড গোলচত্বর থেকে বরাবো বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়কে খানাখন্দ ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাটি দিয়ে যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানটি অতিক্রম করার সময় চালকদের অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই মালবাহী গাড়ি বিভিন্ন স্থানে বিকল হয়ে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। অন্যদিকে দূরপাল্লার যানবাহন এখানে এসে ধীর গতিতে থেমে থেমে চলাচল করতে হচ্ছে। এতেই সকাল থেকেই যানজটের সূত্রপাত ঘটে। যা দুপুরের পর থেকে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়ে কাঁচপুর থেকে মৈকুলি পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে যানবাহনের দীর্ঘ সারিতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের। শত শত যাত্রীকে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। এতে জেলার অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লার যানবাহনের হাজারো মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী যাতায়াত পরিবহন বাসের চালক কামাল হোসেন বলেন, তিনটা বাজে বরপা বাসস্ট্যান্ড পার হয়েই যানজটে আটকা পড়ি। বিকেল চারটা বাজে এখনো তারাবো বিশ্বরোড এলাকায়। প্রতিনিয়ত এ সড়কে সমস্যায় ভুগছি। কিছু পরিমাণ রাস্তা ঠিক করে দিলে ভালো করে চলাচল করা সম্ভব।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মালবাহী ট্রাকের চালক আব্দুল খালেক বলেন, এইখানে আসলেই আমাদের যানজটে পড়তে অয়।
কর্ণগোপ এলাকার বাসিন্দা নাছিম মিয়া বলেন, আমি ঢাকা থেকে দোকানের পণ্য কিনতে যাবো কিন্তু রুপসি বাসস্ট্যান্ড পৌঁছে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে আবার বাড়িতে ফিরছি।
শিমড়াইল ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যাত্রামুড়া এলাকার কাছাকাছি সকাল ১০টার দিকে মালবাহী একটি বড় গাড়ি সড়কের প্রায় মাঝামাঝি অংশে বিকল হয়ে পড়ে। এতে উভয় পাশের গাড়ির স্বাভাবিক গতি বাধাগ্রস্ত হয়। এতেই যানজটের সৃষ্টি হয়। বিকল হওয়া গাড়িটি মেরামতের কাজ চলছে। মহাসড়ককে স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশ নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
নাজমুল হুদা/এনএইচআর/এমএস