শিক্ষার উদ্দেশ্য মানুষের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করা: বিধান রঞ্জন
মানুষের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করাই শিক্ষার উদ্দেশ্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে ‘প্রাথমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অংশীজনের ভূমিকা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, শিক্ষা বলতে বোঝায় অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অর্জিত আচরণ। শিক্ষার উদ্দেশ্যই হচ্ছে মানুষের সুপ্ত প্রতিভা বিকশিত করা। একজন মানুষ যেন সমাজের উপযুক্ত মানুষ হয়ে উঠতে পারে তা নিশ্চিত করা। সহশিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে পাঠ্যক্রম উভয় মিলে শিশুর নৈতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও যুক্তিভিত্তিক চিন্তার বিকাশ ঘটায়। প্রাথমিক শিক্ষা এক্ষেত্রে শিশুর ভাষাগত সাবলীলতা ও গণিতে সাধারণ দক্ষতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উপদেষ্টা বলেন, সফল স্কুলের দৃষ্টান্ত থেকে ধারণা নিয়ে বাকি স্কুলগুলো নিজেদের উন্নত করতে পারে। শিখন সাইকোলজি অনুযায়ী ক্লাসের সবাই সমমানের না হয়ে মিশ্রমানের হলে একজন অন্যজন থেকে শিখতে পারে।
এসময় তিনি শিক্ষাকে আনন্দদায়ক করতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। শিক্ষকদের সাংগঠনিক নেতৃত্ব ও একাডেমিক নেতৃত্ব প্রদান করে নিজেকে হাজার হাজার শিশুর আদর্শ হিসেবে তুলে ধরার আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. মাসুদ রানা, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) মিরাজুল ইসলাম উকিল ও খুলনার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফিরোজ শাহের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন খুলনা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক ড. মো. শফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম, বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসরীন আকতার ও সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. মোজাফফর উদ্দীন।
মতবিনিময় সভায় খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।
আরিফুর রহমান/এনএইচআর/জিকেএস