হাজিরা দিতে গিয়ে আদালত থেকে অপহরণ, মারধর করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৪:১৮ পিএম, ১০ নভেম্বর ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জ আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে হামিম আলী (২২) নামে এক যুবককে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে মোসা. লিমা খাতুন নামে এক নারীর বিরুদ্ধে। পরে তার থেকে স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক স্বাক্ষর ও মোবাইলফোন কেড়ে নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে হামিম আলী নিজেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৯ নভেম্বর দুপুরে আদালত চত্বর থেকে হামিমকে তুলে নিয়ে যান জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শফিকুল ইসলামের মেয়ে মোসা. লিমা খাতুন ও তার লোকজন। পরে পাশের শান্তিবাগ এলাকার একটি আমবাগানের নির্মাণাধীন বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মারধর করে জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয়। এসময় তার মোবাইলফোন কেড়ে নেওয়া হয়। এছাড়া স্বীকারোক্তিমূলক কিছু ভিডিও ধারণ করেন তারা।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর দুপুরে আদালত চত্বরে হামিমকে লিমা খাতুনসহ চার থেকে পাঁচ ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অটোরিকশায় অপহরণের চেষ্টা চালায়। উপস্থিত জনতার সহায়তায় অপহরণে ব্যর্থ হয়। এমনকি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করেন লিমা। পরে জনতা ওই স্ট্যাম্প উদ্ধার করে।

হামিম আলী বলেন, ২০২২ সালে লিমা আমার বিরুদ্ধে শিবগঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগ তোলেন। কিন্তু তার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক ছিল না। সেই মামলা এখনো আদালতে চলমান। তার মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলাম। এসময় আমাকে অপহরণ করে নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক মারধর করে স্ট্যাম্পে সই নিয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে লিমা খাতুন বলেন, গত তিন বছর ধরে আদালতে মামলা চলছে। তাই গতকাল আমাকে বিয়ে করেন হামিম আলী। এখন আমি তার সঙ্গে সংসার করতে চাই। আমি অপহরণ করিনি।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন আকন্দ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোহান মাহমুদ/এনএইচআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।