শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ নেতাসহ অর্ধশতাধিক কর্মীর বিএনপিতে যোগদান

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ০৭:১২ পিএম, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫
বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দলটির রাজনীতিতে যোগদান করেন তারা

শরীয়তপুরের ডামুড্যায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের এক নেতাসহ অন্তত অর্ধশতাধিক কর্মী বিএনপিতে যোগদান করেছেন।

শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার শিধলকুড়া ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় শরীয়তপুর-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপুর গণসংযোগকালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেন তারা।

বিএনপিতে যোগদান করা ওই নেতার নাম জানে আলম খোকন মাদবর। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জানে আলম খোকন মাদবর দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন। ১৯৯৭ সালে সাবেক পানিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন। এরপর তিনি তার ছেলে নাহিম রাজ্জাকের রাজনীতি করতেন। ২০১৬ সালে শিধলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেন।

শুক্রবার বিকেলে শরীয়তপুর-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু গণসংযোগকালে খোকন মাদবরের বাড়িতে পৌঁছান। পরে সেখানে তিনি ও তার অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপুকে ফুলের মালা পরিয়ে দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেন।

বিএনপিতে যোগদান করা জানে আলম খোকন মাদবর বলেন, ‌‘সাবেক পানিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও তার ছেলে নাহিম রাজ্জাক আমার সঙ্গে প্রহসন করেছেন। প্রহসনের রাজনীতি থেকে আজ আমি অবমুক্ত হয়ে বিএনপিতে যোগদান করেছি। আজ মিয়া নুরুদ্দিন অপু ভাই আমার বাড়িতে এসে আমার গলায় ফুলের মালা পরিয়ে দিয়েছেন। আমি এ মালার সম্মান আমার জীবন দিলে হলেও রাখবো। এই এলাকা আগে নৌকার ঘাঁটি ছিল, তা আমি ধানের শীষের ঘাঁটিতে পরিণত করবো।’

এ বিষয়ে শরীয়তপুর-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন আহাম্মেদ অপু বলেন, ‌‘সব দল-মত নির্বিশেষে আমরা সবাই মিলে একটি পরিবার। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে এ পরিবারের সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে একটি সমৃদ্ধ-উন্নত শরীয়তপুর গড়ে তুলবো।’

বিধান মজুমদার অনি/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।