না.গঞ্জে ডকইয়ার্ড শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা


প্রকাশিত: ০৩:২১ পিএম, ২৯ জুলাই ২০১৬

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় বাড়ির কেয়ারটেকারকে কুপিয়ে হত্যার পর এবার ফয়সাল (১৭) নামে এক ডকইয়ার্ড শ্রমিককে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফয়সালকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দুইটি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।  

নিহত ফয়সাল বন্দরের নবীগঞ্জ শান্তিবাগ এলাকার আবদুল লতিফের ছেলে। আর একই উপজেলার মদনগঞ্জের কেয়ারটেকার আতাউর রহমান আতাবুরকে (৪২) বৃহস্পতিবার বিকেলে হত্যা করা হয়।  

শুক্রবার সন্ধ্যায় বন্দরের নবীগঞ্জ টি হোসেন গার্ডেন সংলগ্ন এলাকায় ফয়সালকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের  জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসাপাতালের মর্গে পাঠায়।

এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফয়সাল বন্দর ডকইয়ার্ডের একজন শ্রমিক। সম্প্রতি ওই ডকইয়ার্ড দখলকে কেন্দ্র করে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। সেই ঘটনার সঙ্গে ফয়সালের যোগসূত্র ছিল সন্দেহে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এছাড়া নবীগঞ্জ এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে এলাকার বখাটে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ফয়সালের দ্বন্দ্ব ছিল।

এরই জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ এলাকার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে পনির, হানিফের ভাগিনা রফিকসহ ৮/৯ জন সন্ত্রাসী নবীগঞ্জ টি হোসেন গার্ডেনের সামনে ফয়সালকে একা পেয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ফয়সালকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।

নারায়ণগঞ্জ সহকারী পুলিশ সুপার (ক-অঞ্চল) আবদুল্লাহ মাসুদ জানান, এলাকার প্রভাব বিস্তার নিয়ে ফয়সালকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ফয়সালের বখাটে বন্ধুরা এর সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। আসামিকে গ্রেফতারে তৎপর রয়েছে পুলিশ।

অন্যদিকে, বন্দরে কেয়ারটেকার আতাউর রহমান হত্যার মূল আসামি বাবু এবং তার সহযোগী মনিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বন্দরের ফরাজিকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার গ্রেফতারকৃতদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। বাবু বন্দরের মদনগঞ্জ এলাকার সোলেমান সর্দারের ছেলে ও মনির একই এলাকার মৃত জিয়াউর রহমানের ছেলে।  
 
শাহাদাত হোসেন/এআরএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।