জঙ্গি রাব্বিকে মাগুরায় দাফন করতে দেবে না এলাকাবাসী
গুলশান হামলার মাস্টার মাইন্ড তামিম চৌধুরীর অপর সঙ্গি ফজলে রাব্বির মরদেহ মাগুরায় দাফন করতে দেবে না বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।
শনিবার নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে মাস্টার মাইন্ড তামিম চৌধুরীসহ নিহত হয় ফজলে রাব্বি। রাব্বি মাগুরা সদর উপজেলার বেরইল গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক কাজী হাবিবুল্লাহর ছেলে। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে রাব্বি সবার ছোট।
জাসদ নেতা মহব্বত আলীসহ একাধিক মুক্তিযোদ্ধা জাগো নিউজকে জানান, একাত্তরের কুখ্যাত রাজাকার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রিজুর মরদেহের মত ফজলে রাব্বির মরদেহও মাগুরায় দাফন করতে দেওয়া হবে না।
বেরইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খন্দকার মহব্বত জাগো নিউজকে বলেন, গ্রামে বসবাসকারী রাব্বির বড় চাচা কাজী গোলাম কবির একজন মুক্তিযোদ্ধা ও বিদ্যুৎ বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী। এছাড়া ছোট চাচা কাজী বরকত উল্লাহ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। রাব্বির বাবা হাবিবুল্লাহ চাকরির সুবাদে যশোরে বসবাস করলেও গ্রামের সঙ্গে তার পারিবারিক যোগাযোগ রয়েছে।
রাব্বির দাফন সম্পর্কে ছোট চাচা কাজী বরকত উল্লাহ জাগো নিউজকে জানান, যেহেতু গ্রামের বাড়িতে তাদের যাতায়াত আছে, বাড়িঘর ও জমিজমা রয়েছে সেহেতু এ ব্যাপারে রাব্বির বাবা হাবিবুল্লাহ সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কাউকে সরাসরি কিছু বলেননি তিনি (হাবিবুল্লাহ)।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মরদেহ দাফনের খবরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন এলাকাবাসী। কেউ কেউ আবার ঘৃণা প্রকাশ করছে। তাদের সবার একই দাবি মরদেহ দাফন করে গ্রামের মাটি অপবিত্র করতে দেবে না তারা।
আরাফাত হোসেন/এফএ/আরআইপি