মায়ের বিচার চেয়ে মেয়ের সংবাদ সম্মেলন


প্রকাশিত: ০৭:১১ এএম, ০১ অক্টোবর ২০১৬

পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় মো. আরজ আলী (৩৫) নামে এক কৃষককে ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে গর্ভধারিণী মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার সকালে মাগুরা আইনজীবী ভবনের সম্মেলন কক্ষে নিহতের দুই মেয়ে মোছা.তাসলিমা খাতুন ও মোছা. নুপূর খাতুন লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ আনেন।

তাসলিমা খাতুন লিখিত বক্তব্যে জানান, একই গ্রামের মন্টু, সাইফুল ও বেঙ্গা বেরইল গ্রামের বেল্লাল ও লিটনের সঙ্গে তার মায়ের দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এসব বিষয় নিয়ে প্রায়ই সংসারে বাবার (আরজ আলীর) সঙ্গে মায়ের (রোজিনা বেগম) ঝড়গা বিবাদ হতো।

এর সূত্র ধরে মা রোজিনা বেগম বেঙ্গা বেরইল গ্রামের বেল্লালের সঙ্গে বিয়ে করে প্রায় দেড় বছর ঘর সংসার করে আবারো বাড়িতে ফিরে আসেন। দুই মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আরজ আলী বার বার রোজিনা বেগমকে ক্ষমা করে দিয়ে বাড়িতে রেখেছিলেন।

এ সুযোগে (২০১৫)  গত বছরের ২৩ জুলাই গভীর রাতে মন্টু, সাইফুল, বেল্লাল ও লিটনের সঙ্গে তাদের মা রোজিনা বেগম ও খালু টিক্কা ষড়যন্ত্র করে ঘুমন্ত অবস্থায় আরজ আলীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে। টিনের ফাঁকা দিয়ে সব ঘটনা দেখে ফেলায় মা রোজিনা বেগম এ ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করে এবং তাদের দু’বোনকে হুমকি দিতে থাকে।

Magura

পরের দিন বাবার লাশ নদীর চরে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে পুলিশকে সব ঘটনা জানালে ফুপু মেরিনা খাতুন বাদী হয়ে রোজিনা বেগম, বিল্লাল, লিটন, সাইফুল ও মন্টুর নামে শ্রীপুর খানায় মামলা করেন। মামলায় রোজিনা বেগম ও সাইফুলকে আটক করলেও বিল্লাল, লিটন ও মন্টু জামিনে বের হয়ে খালু টিক্কার সহযোগিতায় খুন গুমের হুমকি দিচ্ছে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) আব্দুর রহিম জাগো নিউজকে জানান, ইতোমধ্যে মামলার চার্জশিট দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত পাঁচ আসামির মধ্যে তিনজন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

এছাড়া মামলার বাদী নিহতের বোন মেরিনা খাতুন ও দুই মেয়েকে সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হবে। ইতোমধ্যে মাগুরার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায় মামলাটি সার্বিক দিক দেখছেন বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

আরাফাত হোসেন/এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।