খুলনা অঞ্চলের চিংড়ি চাষিদের মাথায় হাত

ভাইরাসের আক্রমনের পর সাদা সোনা খ্যাত বাগদা চিংড়ির দাম অস্বাভাবিক হারে কমে যাওয়ায় খুলনা অঞ্চলের চিংড়ি চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
গত ১৫/২০ দিনে বাগদার দাম কেজিতে কমেছে চার থেকে পাঁচশ টাকা পর্যন্ত। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে যাওয়াতেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আর তাতেই মাথায় হাত উঠেছে তাদের। রফতানিযোগ্য চিংড়ি এখন স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩/৪ শত টাকায়।
চিংড়ি রফতানিকারক সমিতি জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে বাগদা চিংড়ির দাম ও চাহিদা কমে যাওয়ায় এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। এক হাজার তিনশ টাকা দরের চিংড়ির দাম কমে হয়েছে ৮ শত টাকা। ৪৪ গ্রেডের যে মাছ আগে সাড়ে পাঁচ শত থেকে ৬ শত টাকায় বিক্রি হয়েছে তা নেমে এসেছে ২৫০ টাকায়।
খুলনার ডিপো মালিকরা জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের চিংড়ির চাহিদা কমে যাওয়ায় মাছ কিনে তা বরফজাত করে রাখতে হচ্ছে দিনের পর দিন। এতে করে টাকা আটকে থাকছে। তাই নগদের পরিবর্তে বাকিতে কিনছেন তারা। বাধ্য হয়েই উৎপাদিত মাছ বাকিতে বিক্রি করতে হচ্ছে চাষিদের। যা চাষিদের মাথায় হাত উঠিয়ে দিয়েছে। চিংড়ি বিক্রি করে ঋণের টাকা পরিশোধ করার চিন্তা থাকলেও তা পারছেন না তারা। ঋণের সুদের হারও কমছে না। ফলে এক প্রকার উভয় সংকটে পড়েছেন তারা।
মৎস্য বিভাগের হিসাবে চলতি বছর বৃহত্তর খুলনা জেলায় (খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা) বাগদা চিংড়ি চাষ হয়েছে প্রায় এক লাখ ঘেরে। উৎপাদন ভালো হলেও চাষিরা লাভ পাবে কি না, তা নিয়ে আছে শঙ্কা। এই সমস্যার সমাধান করতে হলে সরকারকে নতুন বাজার খোঁজার পরামর্শ দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
এব্যাপারে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক হুমায়ুন কবির জাগো নিউজকে বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে চিংড়ির চাহিদা অনেক কমে গেছে। যা আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশী। তাছাড়া ভারত ও অন্যান্য দেশের চিংড়ির প্রভাবও রয়েছে। তবে এ পরিস্থিতি বেশী দিন থাকবে না বলে মনে করছেন তিনি।
এমএএস/আরআই