আগৈলঝাড়ায় ইরি ও বোরো ধান কাটা শুরু
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ইরি ও বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। শস্য ভাণ্ডার বলে খ্যাত জেলার দশটি উপজেলার অধিকাংশ এলাকায় ইতোমধ্যে রোপিত বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৮-১০দিন ধরে আগৈলঝাড়া উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলাতে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। ফলে কৃষক পরিবারের সদস্যরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়ায় কৃষকরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বোরো ফসলের সবুজ মাঠ এখন সোনালি হয়েছে। কোনো কোনো স্থানে রোপিত বোরো ধান কাটাও শুরু হয়েছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, বোরো জমিতে এবার পোকার আক্রমণ তেমন ছিল না। সময় মতো সার, বীজ ও সেচকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় গত কয়েক বছরের ন্যায় এবারও বোরো ধানের বাম্পার ফলন ফলেছে।
সূত্রে আরো জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে এবারও বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলার চাষিরা জানিয়েছেন, গুটি ইউরিয়া সার প্রয়োগের মাধ্যমে সুগন্ধি লাল তীর ধানের চাষ করে তারা প্রতি শতকে দেড় মণ ধান ফলন পেয়েছেন। নমুনা কর্তনের পর এবার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর থেকে লাল তীর ধান চাষে হেক্টর প্রতি ৭ মেট্রিক টনেরও অধিক ফলন ঘোষণা করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় অনেক গুণ বেশি।
উপজেলার জোবারপাড় গ্রামের কৃষক জগদীশ বৈরাগীর বোরো ক্ষেতের ব্রি ধান-৫৯ কেটে সম্প্রতি কৃষক মাঠ দিবস পালন করেছেন। প্রধান অতিথি হিসেবে মাঠ দিবসের উদ্বোধন করেন বরিশাল বিডিএসর উপনির্বাহী কর্মকর্তা জেমস পি. বিশ্বাস। তিনি জানান, সিসা বিডি প্রকল্পের আওতায় আধুনিক কৃষি উন্নয়নের জন্য তারা বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলার ২৫টি উপজেলায় কাজ করছেন।
তিনি আরো জানান, চলতি মৌসুমে ব্রি-৫৯ ধানের ফলন হয়েছে প্রতি হেক্টরে ৭.২ মেট্রিক টন। আগৈলঝাড়ায় ৯ হাজার ৬শ` হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড ৩ হাজার ৭শ` ৩১ হেক্টর, উফশী বোরো ৬ হাজার ৬শ` ৩৯ হেক্টর জমি চাষের আওয়ায় নেয়া হয়েছে। চলতি মৌসুমে সর্বত্র বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কোথাও কোনো প্রকার প্রাকৃতিক বিপর্যয় না ঘটলে চলতি বছর বোরো ধানের রেকর্ড পরিমাণ উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মো.সাইফুল ইসলাম/এমজেড/আরআই
