প্রাণ-আরএফএলের কল্যাণে গভীর অরণ্য এখন আলোর দিশারী


প্রকাশিত: ১০:০৬ এএম, ২৭ মে ২০১৫
ক্যাপশন: কালীগঞ্জে প্রাণ-আরএফএলের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের প্রধান ফটক।

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় প্রাণ-আরএফএলের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে উঠার ফলে স্থানীয়ভাবে এ উপজেলা অন্য আর দশটা উপজেলার চেয়ে অনেক বেশি উন্নত। আর এ কারণে কালীগঞ্জ এখন হয়ে উঠেছে অন্যান্য উপজেলার উন্নয়নের রোল মডেল।

কালীগঞ্জ পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মূলগাঁও গ্রামের কাউন্সিলর আমির হোসেন জাগো নিউজকে জানান, একটা সময়ে কালীগঞ্জ পৌর এলাকার মূলগাঁও গ্রাম ছিল গভীর অরণ্যে ভরা। লোক সমাগম ছিল না বললেই চলে। হাতে গোনা কয়েকটি বাড়ি-ঘর ছিল। পুরো এলাকাটি ছিল ধুলাে-বালিতে সয়লাব। কিন্তু কালীগঞ্জের আকাশে ভাগ্যদেবী যেনো মুখ তুলে তাকালেন। দেশের সর্ববৃহৎ প্রাণ-আরএফএল কোম্পানি মূলগাঁও এলাকায় গড়ে তোলেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক। মূলগাঁও গ্রামের মানুষ তো বটেই এর আশপাশের এলাকার মানুষের ভাগ্যের চাকা তখন থেকেই ঘুরতে থাকে। আর প্রাণ-আরএফএলের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে উঠার সুবাদে কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ তাদের আত্মউন্নয়নে ভাসতে থাকে।

বাঘারপাড়া গ্রামের প্রাণ-আরএফএলের শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের এলাকায় প্রাণ-আরএফএলের কারখানা হওয়ার কারণে আমরা এখন আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেছি। আগে আমি নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতাম আর এখন প্রাণে কাজ করে সাবলম্বী হয়েছি। বর্তমানে আমি আমার বাড়িতে ঘর করে প্রাণ-আরএফএলের শ্রমিকদের কাছে ভাড়া দিয়ে প্রতি মাসে ভালো টাকা আয় করছি।

মূলগাঁও গ্রামের মুদি দোকান ব্যবসায়ী নিখিল চন্দ্র দাস জানান, স্থানীয় এবং বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রাণ-আরএফএলে আসা চাকুরীজীবীদের সুবাদে এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করছি এবং পরিবার নিয়ে স্বাচ্ছন্দে দিন কাটাচ্ছি।

একই গ্রামের স্থানীয় বাড়িওয়ালা মিলন মিয়া জানান, প্রাণ-আরএফএলের বৃহৎ কোম্পানিতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে জনশক্তি এসে এখানে ভাড়া থেকে কাজ করছে। প্রাণ-আরএফএল আমার জমিতে বাসস্থানের ব্যবস্থা করেছে। এতে প্রতি মাসে আমি হাজার হাজার টাকা আয় করছি।

পৌর এলাকার ঘোনাপাড়া গ্রামের আব্দুল বাতেন, দেওপাড়া গ্রামের দুলাল মিয়া, বালীগাঁও গ্রামের আব্বাস আলী ও খঞ্জনা গ্রামের আব্দুর রহমান প্রাণ-আরএফএলের শ্রমিকদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করে প্রতি মাসে উপার্জন করছেন হাজার হাজার টাকা।

প্রাণ-আরএফএল কোম্পানি নিয়ে কথা কালীগঞ্জ পৌর মেয়র মো. লুৎফুর রহমানের সাথে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, কালীগঞ্জে প্রাণ-আরএফএল কোম্পানিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান। এখানে যারা দু’বেলা দু’মুঠো আহার মুখে দিতে পারতেন না তারা এখন তিন বেলা পেট পুরে খান। স্থানীয় অনেক শিক্ষিত যুবক যারা লেখাপড়া করে বেকার দিন কাটাতেন তারা এখন প্রাণ-আরএফএলে চাকুরি করে পরিবারের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন।       

এসএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।