হাত ধরেই শেষ নিঃশ্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী
প্রকাশিত: ০৯:০৯ এএম, ০৪ আগস্ট ২০১৭

রাজশাহীর বাঘায় পদ্মায় নৌকা ডুবে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর হাত ধরাধারি অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর একটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।

লালপুর ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার রুহুল আমীন বলেন, খবর পেয়ে সকাল ৯টার দিকে নিখোঁজ ওই দুজনকে উদ্ধারে নদীতে নামেন ডুবুরিরা। বেলা একটায় দুর্ঘটনাস্থলের প্রায় ২০০ গজ ভাটিতে হাত ধরাধারি অবস্থায় মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন, উপজেলার সুলতানপুর এলাকার মোহাম্মদ মুন্টুর ছেলে সবুজ আলী (১৮) এবং পাশের আবাদী চাদপুরের চাঁন্দের আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম (১৪)।

নিহত সবুজ আলী উপজেলার দুরদুরিয়া কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এছাড়া মনিরুল ইসলাম খানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সংসারে স্বচ্ছলতা ফেরাতে পড়ালেখার পাশাপাশি কৃষি কাজ করতেন ওই দুই শিক্ষার্থী।

এরআগে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার খানপুর খেয়াঘাট এলাকায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হন ওই দুজন।

নৌকাডুবিতে বেঁচে ফেরা কয়েকজন জানিয়েছেন, সকালে অন্যের জমিতে পাট কাটতে প্রায় ৫০ জনের একটি দল নৌকায় পদ্মা পাড়ি দিয়ে খানপুর চরে যাচ্ছিলেন। খানপুর খেয়াঘাটে ভেড়ার আগেই ভারসাম্য হারিয়ে নৌকাটি উল্টে যায়।

এতে অন্যরা সাঁতরে তীরে ফিরলেও ওই দুই শিক্ষার্থী তলিয়ে যান। নৌকায় নিখোঁজ সবুজের বাবা মন্টু এবং মনিরুলের বাবা চাঁন্দের আলীও ছিলেন। তারা সাঁতরে তীরে ফেরেন।

খবর পেয়ে রাজশাহী সদর ও নাটোরের লালপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করে।

বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে ৪০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে। মরদেহ দাফন বাবদ এ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়।

এদিকে খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে যান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলম। তিনি নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের সমবেদনা জানান।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/এফএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।