১৮ দিন ধরে স্ত্রী নিখোঁজ, স্বামী নীরব

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জয়পুরহাট
প্রকাশিত: ০৫:০৪ পিএম, ০২ জুন ২০১৮

জয়পুরহাট সদর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের মৃত তাজের উদ্দিনের মেয়ে ও গাজীপুরের জয়দেরপুর এলাকার একটি গার্মেন্টস কর্মী ফেন্সি খাতুন (২৮) গত ১৮ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। গত ১৬ মে জয়দেবপুর উপজেলার নান্দুয়ান এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি ফেন্সি। এ বিষয়ে তার স্বামীর নীরব ভূমিকার কারণে তাকে সন্দেহ করে অজানা আশঙ্কায় দিন কাটাছে ফেন্সির স্বজনরা।

জানা যায়, গত ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ানি জয়পুরহাট সদর উপজেলার গঙ্গাদাসপুর গ্রামের মৃত তাজের উদ্দিনের মেয়ে ফেন্সির সঙ্গে দিনাজপুর জেলার খানসামা উপজেলার বাসলি পাট্ট-জয়গঞ্জ গ্রামের নূরল ইসলামের ছেলে সাখাওয়াত হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিনের মধ্যে সাখাওয়াত ও তার পরিবার যৌতুকের জন্য ফেন্সিকে শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করত বলে ফেন্সির স্বজনরা অভিযোগ করেন।

ফেন্সির ছোট বোন বুলি খাতুন ও ভাই আব্দুল মান্নানের অভিযোগ, তাদের বাবা ও মা মারা গেলে ফেন্সির উপর নির্যাতন বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে গার্মেন্টসে শ্রমিকের কাজ নিয়ে সাখাওয়াত ও ফেন্সি গাজীপুর যান। এর কিছুদিন পরেই তাদের ঘরে এক কন্যা সন্তান জন্ম নেন তার বয়স ৯ মাস। গার্মেন্টসে কাজ নেয়ার পর কিছুটা স্বচ্ছলতা ফিরে আসলেও স্বামী সাখাওয়াতের মারধর কিন্তু বন্ধ হয়নি। এদিকে বেশ কিছু দিন বোনের খোঁজ খবর না পেয়ে গত ১৭ মে থেকে ২-৩ দিন ধরেও ফেন্সিকে ফোন করলেও তা না ধরায় তাদের সন্দেহ হয়।

এ কারণে গত ২১ মে বুলি ও তার স্বামী তারজুল ইসলাম বাবু জয়দেবপুর তাদের ভাড়া বাসায় গিয়ে শুধু সাখাওয়াত ও শিশু কন্যাকে দেখলেও ফেন্সিকে দেখতে পেয়ে না এ বিষয়ে সাখাওয়াতকে জিজ্ঞাসা করেন। তার কাছ থেকে কোনো সদুত্তোর না পাওয়ার তাদের সন্দেহ হয়। পরবর্তীতে তারা ওই দিনই জয়দেবপুর থানায় সাধারন ডায়েরি করেন।

ফেন্সির বাবার বাড়ি গঙ্গাদাসপুর গ্রামের ফারুখ হোসেন, মিজানুর রহমানসহ এলাকাবাসী জানান, সাখাওয়াত-ফেন্সির দাম্পত্য কলহ কমবেশি লেগেই থাকত। এর মধ্যে ফেন্সির নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি তারা মেনে নিতে পারছেন না। এ ছাড়া ফেন্সির নিখোঁজের ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও তার স্বামী নিশ্চুপ থাকায় ফেন্সিকে হত্যা বা গুম করা হতে পারে বলে আশঙ্গা করছেন তারা।

এ বিষয়ে জানাতে অভিযুক্ত সাখাওয়াত হোসেনের মোবাইল ফোনে বারবার ফোন করে তাকে পাওয়া যায়নি।

গাজীপুরের জয়দেবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, এ বিষয়ে থানায় জিডি করা হয়েছে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রাশেদুজ্জামান/আরএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।