রাঙ্গামাটিতে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাঙ্গামাটি
প্রকাশিত: ০৫:৫৩ পিএম, ১১ জুন ২০১৮

রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধসের আশঙ্কায় ৩১টি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে জনসাধারণের জন্যে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া অস্থায়ীভাবে তাঁবুও টানানো হয়েছে।

সোমবার রূপনগর এলাকায় অস্থায়ীভাবে ১৫টি তাঁবু টানানো হয় এবং শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি ভবনকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।

সকালে জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ ও সেনাবাহিনীর রাঙ্গামাটি সদর জোন কমান্ডার রেদওয়ানুল ইসলাম ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঝুঁকিপূর্ণ স্থান এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিদর্শন করেন।

আশ্রয়কেন্দ্রগুলো হলো, ১নং ওয়ার্ড শহীদ আব্দুল আলী একাডেমি, ২নং ওয়ার্ড বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, ৩নং ওয়ার্ড পুলিশ লাইন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ৪নং ওয়ার্ড এনডিসি হিল কোয়ার্টার (দুদক অফিসের পার্শ্বে), ওমদামিয়া হিল পৌর জুনিয়র হাই স্কুল, ডিয়ার পার্ক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেওয়ান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৫নং ওয়ার্ড স্বর্ণটিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬নং ওয়ার্ড যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, পৌর জুনিয়র হাইস্কুল, বাংলাদেশ টেলিভিশন ভবন, মোনোঘর ভাবনা কেন্দ্র, যুব উন্নয়ন অফিস, বিএডিসি অফিস ভবন, ৭নং ওয়ার্ড কাঁঠালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, ৮নং ওয়ার্ড পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, রানী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়, ৯নং ওয়ার্ড গোধুলী আমানতবাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (পিটিআই) ভবন।

Rangamati-(2)

আশ্রয়কেন্দ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থান পরিদর্শন শেষে জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ জানান, ঝুঁকিতে বসবাসরত এসব মানুষকে নিরাপদস্থানে সরিয়ে নেয়ার জন্য বারবার মাইকিং করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের কাছে ৩০০টি তাঁবুও রয়েছে। এসব তাঁবুর কিছু রূপনগরে টানানো হয়েছে। এছাড়া বিভিন্নস্থানে আরও তাবু টানানোর কাজ এবং স্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, যারা ঝুঁকিতে বসবাস করছে তারা যেন দ্রুত সময়ে এসব তাবুতে আশ্রয় নিতে পারে। এছাড়াও শহরে ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রশাসনের বিভিন্ন টিম ঝুঁকি মোকাবেলায় কাজ করছে। এসব কাজে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা সহযোগিতা করছে।

সোমবার রাঙ্গামাটিতে সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও দুপুরের পর থেকে ভারি বর্ষণের কারণে রাঙ্গামাটি শহরের কয়েকটি স্থানে মাটিধসে পড়ে। এছাড়া গতকাল সকালে প্রথম সর্তকতামূলক মাইকিং করে জেলা প্রশাসন। রাতে ভারি বর্ষণের কারণে বিভিন্নস্থানে মাটিধসে পড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাও পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ।

উল্লেখ্য, গেল বছরের ১৩ জুন রাঙ্গামাটিতে ভয়াবহ পাহাড়ধসে ৫ সেনা সদস্যসহ ১২০ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এতে জেলাজুড়ে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়।

এমএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।