পরকীয়া প্রেমে স্ত্রীকে খুন, স্বামীর যাবজ্জীবন
শেরপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার জরিমানা অনাদায়ে চার মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
শেরপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোসলেহ উদ্দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আমিনুল ইসলাম (৩৮) শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা গ্রামের ওহাব মন্ডলের ছেলে। মামলায় অপরাধ প্রমাণ না হওয়ায় অপর চারজনকে খালাস দেয়া হয়।
আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ঠান্ডু মামলার নথির বরাত দিয়ে বলেন, সদর উপজেলার সন্ন্যাসীর চর গ্রামের শাহজাহান মিয়ার মেয়ে শিখা বেগমের সঙ্গে শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা গ্রামের ওহাব মন্ডলের ছেলে আমিনুলের বিয়ে হয়।
বিয়ের প্রায় ছয় বছর পর আমিনুলের সঙ্গে অন্য নারীর পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠায় স্ত্রী শিখা বেগমের সঙ্গে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। ২০১৬ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আমিনুল স্ত্রী শিখা বেগমকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ গোয়ালঘরের ধর্নার সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে অপ্রচার চালায়।
নিহতের ভাই জুবাইদুল ইসলাম এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় বোনজামাই আমিনুল ইসলামসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
পিপি অ্যাডভোকেট ইমাম হোসেন ঠান্ডু আরও বলেন, মামলার প্রেক্ষিতে শিখা বেগমের মরদেহের ময়মনাতদন্তের প্রতিবেদনে হত্যার আলামত পাওয়ায় স্বামী আমিনুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আমিনুল আদালতে স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখার বিষয়টি স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। এ ঘটনায় শ্রীবরদী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম স্বামী আমিনুল ইসলামসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে ২০১৬ সালের ২৮ জুন আদালতে চার্জশিট দেয়। ১১ সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে বৃহস্পতিবার আমিনুল ইসলামকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে এবং অপর চারজনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
হাকিম বাবুল/এএম/জেআইএম