কম সময়ে বেশি ফলন, ব্রি-৮৭ ধান চাষে আগ্রহী কৃষকরা

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক বেনাপোল (যশোর)
প্রকাশিত: ০৩:১৬ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত ব্রি-৮৭ জাতের চিকন ধান চাষে কম সময়ে ফলন বেশি পাওয়া যাচ্ছে। ফলে যশোরের শার্শায় ব্রি-৮৭ জাতের ধান চাষে কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে। স্বর্ণা জাতের ধান চাষে আগ্রহ কমছে কৃষকদের।

কৃষকরা জানান, ব্রি-৮৭ জাতের চিকন ধান প্রতি ৩৩ শতাংশ জমিতে ২৭-৩০ মণ পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে। স্বর্ণা ধানের জীবনকাল ১৪৫ দিন আর ব্রি-৮৭ চিকন আমন ধানের জীবনকাল ১২৭ দিন। স্বর্ণা ধান কাটার ১৫ দিন আগেই কাটা যায় ব্রি-৮৭ জাতের চিকন আমন ধান। মোটা জাতের স্বর্ণা ও গুটি স্বর্ণা ধান বাজারে বিক্রি করতে গেলে মহাজনরা কথাই বলতে চান না। তবে ব্রি-৮৭ জাতের চিকন আমন ধান আড়তদার, চাতাল মালিক ও মহাজনরা আগ্রহ করে কিনছেন।

শুধু তাই নয় চিকন জাতের এই জাতটি উঁচু জমিতে লাগালেও আশানুরুপ ফলন পাওয়া যায়। তাছাড়া যে সকল জমিতে একাধিক ফসল উৎপাদন করা হয় যেমন ব্রি-৮৭ জাতের ধান সময়ের ব্যবধান হিসেব করে চাষ করলে নির্ধারিত সময়ে ওই ধান কেটে সরিষা, মুসুর ডাল, ছোলাসহ বিভিন্ন ডাল জাতীয় ফসল আবাদ করা যাবে। নির্ধারিত মৌসুমের সময় অনুসারে এবং সরিষা তুলে বোরো চাষ করা যাবে অতি সহজে। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে উদ্ভাবিত ব্রি-৮৭ চিকন জাতের এই নতুন ধান চাষ করায় যশোরের শার্শার চাষিদের ভাগ্য ফিরছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে ১১টি ইউনিয়নের ৩০ জন চাষি ৩০ বিঘা জমিতে উন্নত জাতের চিকন ধানের চাষ করে সফল হয়েছেন। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্রি-৮৭ জাতের ধান চাষিদের মাধ্যমে চাষ করা হচ্ছে।

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা গেছে, পহেলা আষাঢ় থেকে ২১ আষাঢ়ের মধ্যে ব্রি-৮৭ জাতের ধান চাষ করতে হয়। চারার বয়স ২৫ থেকে ৩০ দিন হতে হবে। প্রতি গুছিতে ২/৩টি চারা রোপণ করতে হবে। চারা ১৫ সেন্টিমিটার দূরুত্বে লাগাতে হবে। ২১ আষাঢ়ের পরও এ ধান চাষ করা যাবে তবে ও জমিতে নির্ধারিত সময়ে সরিষা চাষ করার পর বোরো ধান চাষ করা যাবে না। ধানের ফলন ঠিক রাখতে হলে চারার বয়স ২৫-৩০ দিন হতে হবে। প্রতি বিঘা জমিতে ২৪ কেজি ইউরিয়া, টিএসপি ১১ কেজি, এমও পি-১৩ কেজি, জিপসাম ৯ কেজি এবং জিংক সালফেট ১.৬ কেজি। এ ক্ষেত্রে অঞ্চল ভিত্তিতে সারের মাত্রা কিছু বাড়াতে পারেন চাষিরা। চাল শক্ত ও পরিপূর্ণ হওয়া পর্যন্ত পানির প্রয়োজন হলে সেচ দিতে হবে।

শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল জানান, ব্রি-৮৭ জাতের ধানে রোগবালাই ও পোকার আক্রমণ প্রচলিত জাতের চেয়ে অনেকাংশে কম। ধানে রোগবালাই কিংবা পোকার আক্রমণ দেখা দিলে অবশ্যই কৃষি অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

জামাল হোসেন/আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।