শীত উপেক্ষা করে অনশনে পাটকল শ্রমিকরা, দুইজন হাসপাতালে
নরসিংদীতে তৃতীয় দিনের মতো পাটকল শ্রমিকদের আন্দোলন চলছে। মঙ্গলবারও (৩১ ডিসেম্বর) প্রচণ্ড শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে শ্রমিকরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন। ৩৬ ঘণ্টার আন্দোলনে হারুনুর রশিদ ও দুলাল মিয়া নামে দুই শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে শ্রমিক আন্দোলনের ফলে মিলের সকল ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। মজুরি কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবি আদায়ে গত রোববার (২৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে বাংলাদেশ পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ ঐক্য পরিষদের ডাকে ইউনাইটেড-মেঘনা-চাঁদপুর (ইউএমসি) জুট মিলের শ্রমিকরা মিল গেটের সামনে এ আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। এ অনশনে ইউএমসি জুট মিলের স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক রয়েছেন।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন শ্রমিকরা। টানা পাঁচদিন আন্দোলনের পর আলোচনার জন্য কর্মসূচি স্থগিত করে কাজে যোগ দেন তারা।
অনশন কর্মসূচিতে ইউএমসি জুট মিলের সিবিএর সভাপতি শফিকুল ইসলাম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক কামাল মিয়া, কাউছার আহাম্মেদ,সুমন খন্দকার,জাকির হোসেন,দেলোয়ার হোসেন, নন সিবিএ পরিষদের সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান, মোশারফ হোসেন,কাউযুম প্রধান, শামসুল আরেফিন, ইসা হাবিব রিপন সরকারসহ সাধারণ শ্রমিকরা অনশনে উপস্থিত রয়েছেন।

শ্রমিক নেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ঘরে চাল নেই। বাজার নেই। সন্তানদের মুখে দু-মুঠো ভাত ঠিক মতো তুলে দিতে পারছি না। তাই বাধ্য হয়ে জীবিকার তাগিদে আন্দোলনে নেমেছি। সরকার সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করেছে। কিন্তু শ্রমিকদের বেতন বাড়ায়নি। আমাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। আমাদের প্রতি এমন বৈষম্য কেন?
ইউএমসি জুট মিলের সিবিএ সভাপতি শফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন, তৃতীয় দিনের মতো আন্দোলন চলছে। এখন পযর্ন্ত প্রশাসন বা সরকারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো খোঁজখবর নেয়নি। এরই মধ্যে আমাদের দুই শ্রমিক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
সঞ্জিত সাহা/আরএআর/জেআইএম