শরীয়তপুরে ২৯৭ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে
শরীয়তপুরে বিদেশ থেকে আসা ২৯৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. আব্দুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশ থেকে শুক্রবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ৬১, নড়িয়ায় ১০৮ জন, জাজিরায় ৩১ জন, ভেদরগঞ্জে ৪৫ জন, ডামুড্যায় ৩৬ জন ও গোসাইরহাটে জন ১৬ জনসহ মোট ৩৫৭ জন ফিরে এসেছেন।
ডা. আব্দুর রশিদ আরও জানান, এদের প্রত্যেককেই জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সদর উপজেলায় ৭ জন, নড়িয়ায় ৮ জন, ভেদরগঞ্জে ২ জন, ডামুড্যায় ৫ জন ও গোসাইরহাটে ১ জনসহ মোট ২৩ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। নতুন করে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় এসেছেন সদর উপজেলার ১৪ জন, নড়িয়ায় ১০ জন, জাজিরায় ২ জন, ভেদরগঞ্জে ৫ জন ও গোসাইরহাটে ৬ জনসহ মোট ৩৭ জন।
তিনি বলেন, জেলায় ৩০টি আইসোলেশন শয্যা ও একশটি কোয়ারেন্টাইন শয্যা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় এখনো পর্যন্ত কোনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত বা সন্দেহজনক কেউ শনাক্ত হয়নি।
এদিকে শুক্রবার (২০ মার্চ) দুপুরে জেলার ডামুড্যা উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের ধনই গ্রামে সম্প্রতি ওমান থেকে আসা এক প্রবাসী ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে না থেকে বাইরে ঘোরাঘুরি করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন। তাছাড়া তিনি ডামুড্যা বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করার এক ব্যবসায়ীকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
অন্যদিকে আজ করোনা আতঙ্কের সুযোগে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর কারণে নড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ৮ প্রতিষ্ঠানকে ১৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। অভিযান পরিচালনা করেন জেলা সহকারী পরিচালক সুজন কাজী । এ সময় উপস্থিত ছিলেন শরীয়তপুর ক্যাবের সভাপতি মো. বিল্লাল হোসেন খান ও জেলা পুলিশের একটি দল।
মো. ছগির হোসেন/এমএসএইচ/পিআর