সেনাবাহিনীর আহ্বানে সাধারণ মানুষের অভূতপূর্ব সাড়া

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কক্সবাজার
প্রকাশিত: ০১:৩৩ এএম, ২৯ মার্চ ২০২০

‘আপনাদের সুস্থতাই আমাদের কাম্য’ স্লোগানে পর্যটন নগরী কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া, আনোয়ারা, কর্ণফুলী, বোয়ালখালী, বাঁশখালী, সাতকানিয়া, লোহাগড়া ও চন্দনাইশ এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনা প্রতিরোধে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করছে সেনাবাহিনীর রামুস্থ ১০ পদাতিক ডিভিশন।

সচেতনাতামূলক প্রচারণা ছাড়াও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিশেষভাবে নির্মিত গাড়ি থেকে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন মসজিদ, রাস্তা ও হাসপাতালে জীবাণুনাশক স্প্রে করছেন। পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় দফায় দফায় গিয়ে জেলা প্রশাসন কর্তৃক চিহ্নিত নাগরিকদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করছেন সেনাসদস্যরা।

জেলা-উপজেলার মার্কেট, বাস টার্মিনাল, জরুরি প্রয়োজনে খোলা দোকান, কাঁচাবাজার ও ফার্মেসিতে গিয়ে কতটুকু দূরত্ব বজায় রাখতে হবে তা চিহ্নিত করার কাজে সেনাবাহিনীর ডাকে সাধারণ মানুষ অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছে। সেনা টহল জোরদার থাকায় এমনটি সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

সরেজমিনে দেখা গেছে, জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে সেনাসদস্যরা জেলার প্রত্যেকটি শহর, উপজেলা, গ্রাম, পাড়া-মহল্লা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন সড়কে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ অব্যাহত রেখেছেন। বাইরে বিনা প্রয়োজনে চলাচলরতদের বাসায় ফেরত পাঠানো, একজনের বেশি একসঙ্গে চলাচল না করা, রিকশায় একজনের বেশি না ওঠা নিশ্চিত করাসহ প্রয়োজনের তাগিদে চলা গণপরিবহনে প্রতি দুই সিটে একজন বসা বাধ্যতামূলক করেছে। শহরের দোকান-পাট বন্ধ থাকায় এবং যানবাহন চলাচল সীমিত হওয়ার কারণে বদলে গেছে পুরো জেলার সার্বিক দৃশ্যপট।

এদিকে, কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফ এলাকায় ৩৪টি ক্যাম্পে সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গার অবস্থান। তাদের মাঝে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জনসচেতনতা তৈরিতে সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের সদস্যদের তত্ত্বাবধানে ক্যাম্পপর্যায়ে রোহিঙ্গা মাঝি ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক, সহযোগী সংস্থাসমূহের মাধ্যমে বার্মিজ ও ইংরেজি ভাষায় লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

পাশাপাশি রোহিঙ্গা ক্যাম্পসমূহে দিনব্যাপী বার্মিজ ও রোহিঙ্গা ভাষায় সচেতনতামূলক মাইকিং করার কার্যক্রম চলছে। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা ক্যাম্পসমূহে সেনাবাহিনীর নতুন নতুন চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে জনসাধারণ ও সব ধরনের যান চলাচল সীমিত করা হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া বন্ধ করার লক্ষ্যে বেসামরিক প্রশাসনের সহযোগিতায় সরকারের নির্দেশিত লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ টহলদল কাজ করে। বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার সদস্যরা এক হয়ে নিরলস কাজ করে চলছে।

এছাড়া প্রশাসন কর্তৃক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দোকান-পাটসহ অপ্রয়োজনীয় জনসমাগমস্থল। সেনাবাহিনীর গৃহীত এসব কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

সায়ীদ আলমগীর/এএম/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।