করোনায় মৃত ব্যক্তির দাফনে সহযোগিতা করতে চান মিলন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ০৯:৩৫ এএম, ০৫ এপ্রিল ২০২০

প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস আতঙ্ক সর্বত্র। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে মারা গেছেন ৮ জন আর আক্রান্ত হয়েছেন ৭০ জন। পটুয়াখালীতে এখন পর্যন্ত কেউ শনাক্ত না হলেও হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন অনেকে। এমন পরিস্থিতিতে মহামারী আকার ধারণ করলে স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সেচ্ছায় সেবা দিতে চান পটুয়াখালীর মো. মিলন ফকির।

জানা গেছে, মো. মিলন ফকির ঢাকার গাজীপুর কাসাইনুল মইরা মাদরাসায় চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনা করছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে তিনি কাফিয়া সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত। এছাড়া দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ সদর উপজেলার কমলাপুর চরমৌশাদী মাস্টার বাড়ি জামে মসজিদে ইমামের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বর্তমানে কমলাপুর চরমৌশাদী হাওলাদার বাড়ি জামে মসজিদের ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। চরমৌশাদি খেয়াঘাট হাফিজয়া মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতাও তিনি।

মো. মিলন ফকির জাগো নিউজকে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ চাইলে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের সেবা দিতে প্রস্তুত তিনি। প্রশাসন চাইলে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তির দাফন-কাফনে সহযোগিতা করার ইচ্ছা তার। আলেমদের অনুমতি স্বাপেক্ষে এমনকি জানাজাও পড়াতে চান তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পড়েছি আমার মুসলিম ভাইদের মৃত্যুর পর গোসল হয় না, মৃত্যুর পরে কবর খোঁড়ার মানুষ পায় না। এমনকি জানাজাও হয় না। এটা আমাকে ব্যাথিত করেছে। প্রশাসন অনুমতি দিলে আমি চাই পটুয়াখালী জেলার মধ্যে ভাইরাসে কোনো মুসলিম ভাই মারা গেলে তাকে ইসলামি বিধান মোতাবেক গোসল, কবর খুঁড়ে নিজে হাতে কবরে নামাতে এবং বিজ্ঞ আলেম ওলামারা অনুমতি দিলে জানাজার নামাজ পড়াতে।

মহিব্বুল্লাহ্ চৌধুরী/এফএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।