নারায়ণগঞ্জ থেকে মির্জাপুরে গিয়ে করোনা শনাক্ত
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে মঙ্গলবার রাতে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় ওই বাড়িসহ আশপাশের ৩৫-৪০ বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন।
জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত ওই ব্যক্তির বাড়ি মির্জাপুর উপজেলার ভাওড়া ইউনিয়নের বৈরাগী ভাওড়া গ্রামে। নারায়ণগঞ্জের ‘পলি ক্লিনিক’ নামে প্রাইভেট একটি ক্লিনিকে সিনিয়র ওটি বয় হিসেবে কাজ করেন তিনি। ৫ এপ্রিল ছুটিতে বাড়ি আসেন। এরপর তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানাজানি হলে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মাকসুদা খানম ৬ এপ্রিল স্বাস্থ্য কর্মীর মাধ্যমে ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠান। মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) নমুনা পরীক্ষার পর করোনা ভাইরাস পজিটিভ আসে।
মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সায়েদুর রহমান, একজন ডাক্তার ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. আমজাদ হোসেন ওই বাড়িতে যান। রাত একটার দিকে তাকে উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকার কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে পাঠান। এছাড়া ওই বাড়িসহ আশপাশের ৩৫-৪০ বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে বলে ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন জানিয়েছেন।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জুবায়ের হোসেন জানান, রাতে ও সকালে ওই এলাকায় সুরক্ষা নিশ্চিতে মাইকিং করা হয়েছে। ওই বাড়িসহ আশপাশের বাড়িগুলোতে গ্রামের এবং বাহিরের লোকজনের চলাফেরা সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক জানান, ওই বাড়িসহ আশপাশের বাড়ি পরবর্তী নির্দেশনার আগ পর্যন্ত পুলিশের নজরদারিতে থাকবে। তাছাড়া এলাকার মানুষকে সচেতন রাখতে প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
এস এম এরশাদ/এফএ/জেআইএম