লকডাউনেও শরীয়তপুরে ঢুকল তিন শতাধিক মানুষ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ১১:৪৪ পিএম, ১৮ এপ্রিল ২০২০

করোনার থাবা থেকে বাদ যায়নি শরীয়তপুরও। জেলায় এখন পর্যন্ত তিন নারীসহ ছয়জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৯০ বছরের এক বৃদ্ধর। ফলে শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক গত ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ছয়টা থেকে পুরো জেলা লকডাউন ঘোষণা করলেও রাস্তাঘাটে ঘুরে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষ।

ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে অবাধে শরীয়তপুরের বিভিন্ন উপজেলায় প্রবেশ করছে মানুষ। মানছে না কোনো বাধা-নিষেধ। ফলে বাড়ছে করোনার ঝুঁকি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শরীয়তপুর সদরের আংগারিয়া বাজার, শহরের পালং বাজার, ডোমসার বাজার ও নড়িয়া ঘড়িসার বাজারসহ শরীয়তপুরের বিভিন্ন উপজেলায় এখনও আগের মতো জনসমাগম হয়। হাটবাজারে আগের মতোই ভিড় মানুষের।

স্থানীয় সূত্র জানায়, মাঝির ঘাট, শরীয়তপুর-মাদারীপুর সড়ক, শরীয়তপুর নরসিংহপুর ফেরিঘাট, নদীপথে ও সড়কপথে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জ থেকে এখনও মানুষ আসছে। গত ১৫ এপ্রিল থেকে তিনদিনে প্রায় ৩২২ জন মানুষ ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে নদীপথ এবং সড়কপথে রামগতিতে প্রবেশ করেছে। ফলে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে শরীয়তপুরে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি।

শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, গত ১০ এপ্রিল থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ অন্যান্য জেলা থেকে ৮০২ জন শরীয়তপুরে ফিরেছেন। গত তিনদিনে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরেছেন তিন শতাধিক মানুষ। তাদের সবাইকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রশাসন।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহাবুর রহমান শেখ বলেন, জনসমাগম নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিয়েছি। তবুও কিছু অঞ্চলের সাধারণ মানুষ পুরোপুরিভাবে লকডাউন মানছেন না। লকডাউন পরিপূর্ণ করার জন্য আরও কঠোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সদর উপজেলার নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, কাঁচাবাজারগুলো দুই-একদিনের মধ্যে সরিয়ে নেয়া হবে। পালং বাজারকে পালং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নেয়া হবে। জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।

শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল্লাহ্ আল মুরাদ বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে শরীয়তপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক। তবুও ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে শরীয়তপুরে ফিরছেন মানুষ। তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যাদের করোনা উপসর্গ রয়েছে তাদের চিকিৎসা দিচ্ছে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।

মো. ছগির হোসেন/এএম/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।