জয়পুরহাটে ৭ বছরের শিশু করোনায় আক্রান্ত, পরিবারের সবাই সুস্থ
জয়পুরহাটে আরও ৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এর মধ্যে জেলায় প্রথম ৭ বছরের একজন শিশু রয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ জনে।
বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ল্যাবরেটরি থেকে পাঠানো রিপোর্টে জয়পুরহাটের ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৩ জনের নমুনা নেগেটিভ হলেও ৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা।
করোনা আক্রান্তরা কালাই উপজেলার ২৫ বছরের যুবতী পাঁচগ্রাম পুনট গ্রামের বাসিন্দা, আক্কেলপুর উপজেলার দিয়র গোপীনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার হেলকুন্ডা বল্লাপাড়া গুচ্ছগ্রামের ৭ বছরের ছেলে শিশু আক্রান্ত হলেও তার পরিবারের বাবা-মা, ২ বছরের ভাই ও ৬ মাস বয়সী কন্যা শিশু কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মিল্টন চন্দ্র রায় জানান, গুচ্ছগ্রামের আক্রান্ত শিশুর পরিবারসহ চার পরিবারের সব সদস্যকে বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে এবং তাদের পর্যাপ্ত খাবার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। যেহেতু আক্রান্ত শিশুটি ছোট এজন্য তার বাবাসহ শিশুটিকে গোপীনাথপুর আইসোলেশনে (সেফ অতিথিশালা) পাঠানো হয়েছে। আক্রান্ত শিশুটির পরিবারের রিপোর্ট নেগেটিভ আসলেও নতুন করে আবার তাদের নমুনা নিয়ে পাঠানো হয়েছে।
জয়পুরহাট সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে এর মধ্যে ৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদেরকে আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির আইসোলেশনে (সেফ অতিথিশালা) পাঠানো হয়েছে। আগের আক্রান্ত ২৮ জনকেও আইসোলেশনে রাখা হয়েছে এবং এদের মধ্যে পুরাতন চারজন করোনা রোগী সুস্থ আছেন বলে জানা গেছে।
জয়পুরহাটে এ পর্যন্ত ১৪৫৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে ৮৪২ জনের নমুনা রিপোর্ট এসেছে এর মধ্যে ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
রাশেদুজ্জামান/এমএএস/এমকেএইচ