জয়পুরহাটে আরও চারজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
জয়পুরহাটে নতুন করে আরও চারজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৮ জন। বুধবার (৬ মে) রাতে আইইডিসিআর ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ল্যাব থেকে পাঠানো রিপোর্টে জয়পুরহাটের ১৮১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৭৭ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও চারজনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নতুন করে করোনা আক্রান্তরা হলেন- কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দন্ত চিকিৎসকের নারী কম্পাউন্ডার, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা আক্রান্ত নৈশ প্রহরীর মা, আক্কেলপুর উপজেলার মাতাপুর গ্রামের বাসিন্দা ১৯ বছর বয়সী তরুণী ও সদর উপজেলার পূর্ব দোগাছী এলাকার জামাই। তিনি শ্বশুরবাড়িতে হোম কোয়েরেন্টাইনে ছিলেন এবং ওই অবস্থায় তার নমুনাও সংগ্রহ করা হয়। কিন্ত তার মধ্যে কোনো উপসর্গ না থাকায় ও হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
কালাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু তাহের মো. তানভির হোসেন বলেন, নৈশ প্রহরীর মা তার ছেলের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছেন। আর নারী কম্পাউন্ডার কার সংস্পর্শে এসে আক্রান্ত হয়েছেন তা খোঁজা হচ্ছে। এই দুইজন কাদের কাদের সংস্পর্শে এসেছেন তা চিহ্নিত করে পরবর্তীতে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হবে।
জয়পুরহাট সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহরিয়ার খাঁন জানান, করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি পার্শ্ববর্তী নওগাঁ জেলার বাসিন্দা। ঢাকায় তিনি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। ঢাকা থেকে এসে তিনি তার নিজ এলাকায় না গিয়ে শ্বশুড়বাড়ি পূর্ব দোগাছীতে ওঠেন এবং সেখানে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। হোম কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তিনি তার নিজ এলাকায় চলে যেতে পারেন। তাকে খবর দেয়ার চেষ্টা চলছে।
জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা জানান, বুধবার রাতে ১৮১ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে চারজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাদেরকে আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির আইসোলেশনে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
রাশেদুজ্জামান/আরএআর/জেআইএম