জয়পুরহাটে আরও ৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত
জয়পুরহাটে একই পরিবারের তিনজনসহ আরও আটজনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৫৬ জন।
সোমবার রাতে (১১ মে) আইইডিসিআরে থেকে পাঠানো রিপোর্টে জয়পুরহাটের ১৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৫৯ জনের করোনা নেগেটিভ হলেও বাবা, ছেলে, পুত্রবধূ ও সদর উপজেলার এক স্বাস্থ্য সহকারীসহ আটজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আক্রান্তরা হলেন- পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী ইউনিয়নের দৈবকনন্দনপুর গ্রামের বাবা (৬৮), ছেলে (৪৫), পুত্রবধূ (৩৮), সমসাবাদ গ্রামের ভারতের তীর্থ স্থান থেকে ফিরে আসা এক নারী (৫৫), নন্দাইল গ্রামের এক কিশোর (১৭), সদর উপজেলার হানাইল গ্রামের স্বাস্থ্য সহকারী (৪৭), উত্তর জয়পুর গ্রামের এক নারী (৪০) ও জয়পুরহাট পৌর শান্তিনগর এলাকার ভাড়াটিয়া যুবক (৩২)।
ধরঞ্জী ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সদস্য সচিব মাহমুদুল আলম বলেন, আক্রান্ত বাবা, ছেলে ও পুত্রবধূর মধ্যে ছেলে রংপুরে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। তিনি প্রায় এক মাস আগে বাড়িতে আসেন। কিন্ত তার ভাই ও ভাইয়ের বউরা ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকরি করেন। তারা ১০ দিন আগে বাসায় আসেন। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় তাদের সবার নমুনা নিয়ে যাওয়া হয়। ভাই ও ভাইয়ের বউদের নেগেটিভ আসলেও ঢাকায় না গিয়েও বাবা, ছেলে, ও পুত্রবধূর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। এ জন্য আমরা আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি।
জয়পুরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন চন্দ্র রায় বলেন, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারীকে বাড়িতে প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখেই চিকিৎসা দেয়া হবে। অন্যদের গোপীনাথপুর আইসোলেশন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
জয়পুরহাটের সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা বলেন, আক্রান্তরা করোনা রোগীর সংস্পর্শ ছাড়াও ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর থেকে নিজ বাড়িতে এসেছেন। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। এতে ১৬৭ জনের মধ্যে আটজনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। আক্রান্ত স্বাস্থ্য সহকারী ছাড়া সবাইকে গোপীনাথপুর হেলথ অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের আইসোলেশন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
রাশেদুজ্জামান/আরএআর/জেআইএম