কুষ্টিয়া ও ভেড়ামারা পৌরসভা রেড জোন, লকডাউন শুরু
কুষ্টিয়া পৌরসভার আট ওয়ার্ড, সদর উপজেলার এক ইউনিয়ন এবং ভেড়ামারা পৌরসভার সাত ওয়ার্ড এবং দুই ইউনিয়নকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ জুন) সকালে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এএইচএম আনোয়ারুল ইসলাম এবং কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন এএইচএম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, গত ১৪ দিনে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যার ভিত্তিতে ওয়ার্ডগুলোকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে।
ইউএনও জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, কুষ্টিয়া পৌরসভার ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে কুষ্টিয়া পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ড (থানাপাড়া-কমলাপুর), ২ নম্বর ওয়ার্ড (কুঠিপাড়া), ৫ নম্বর ওয়ার্ড (চৌড়হাস-ফুলতলা), ৬ নম্বর ওয়ার্ড (হাউজিং), ৭ নম্বর ওয়ার্ড (কালিশংকরপুর), ১৬ নম্বর ওয়ার্ড (বাড়াদী-কমলাপুর), ১৮ নম্বর ওয়ার্ড (মজমপুর-উদিবাড়ী) এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ডকে (কুমারগাড়া-চেঁচুয়া) রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এএইচএম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ভেড়ামারা পৌরসভার নয় ওয়ার্ডের মধ্যে সাত ওয়ার্ড এবং চাঁদগ্রাম ও বাহিরচর ইউনিয়নকে রোড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার থেকে এসব এলাকা রোড জোন হিসেবে বিবেচিত হবে। একই সঙ্গে এসব এলাকা লকডাউনে থাকবে।
কুষ্টিয়া জেলায় রোববার পর্যন্ত ২২৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ রোগীর সংখ্যা ১৭১ এবং নারী রোগী ৫৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪২ জন। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১৭৪ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী হচ্ছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ৯৫ জন। এছাড়া দৌলতপুর উপজেলার ৩১ জন, ভেড়ামারায় ৩৫ জন, মিরপুরে ২০ জন, কুমারখালীতে ৩০ জন এবং খোকসা উপজেলায় ১৩ জন রোগী রয়েছেন।
আল-মামুন সাগর/এএম/পিআর