দোকানে আসতে নিষেধ করায় যুবকের মাথা ফাটালেন করোনা রোগী
দোকানে আসতে নিষেধ করায় প্রতিবেশী যুবকের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন এক করোনা রোগী। একই সঙ্গে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন আহত যুবকের লোকজন।
সোমবার রাতে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব মেহেরুন্নেসা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চরপার্বতী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন কামরুল।
চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন কামরুল বলেন, মেহেরুন্নেসা গ্রামের প্রবাসী নুর ইসলামের ছেলে সোহাগের (২৮) করোনা পজিটিভ ছিল। গত ১৪ দিন ধরে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন সোহাগ। সোমবার রাতে বাড়ির সামনের দোকানে বসে আড্ডা দেয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে সোহাগ মেহেরুন্নেসা গ্রামের হাজি বাড়ির সামনের দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় একই গ্রামের কাতান নামের এক যুবক সোহাগকে করোনা রোগী বলে দোকান থেকে বাড়ি চলে যেতে বলেন। সেই সঙ্গে দোকানে আসতে নিষেধ করেন।
এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা শুরু হয়। এরই মধ্যে সোহাগের লাঠির আঘাতে কাতানের মাথা ফেটে যায়। কিছুক্ষণ পর কাতানের লোকজন প্রবাসী নুর ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন।
চরপার্বতী ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হাফিজ উল্যাহ বাহার বলেন, করোনা রোগীকে দোকানে আসতে নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে এ হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। কাতান আহত অবস্থায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে সোহাগ সুস্থ আছেন।
কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি জানতাম না। কেউ কোনো অভিযোগও দেয়নি। খোঁজখবর নিয়ে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মিজানুর রহমান/এএম/পিআর