কুষ্টিয়ায় শুরু হচ্ছে ২১ দিনের কঠোর লকডাউন
কুষ্টিয়া পৌরসভার আটটি ওয়ার্ড, সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন, ভেড়ামারা পৌরসভার ১, ২, ৩, ৪, ৬, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডসহ বাহিরচর ও চাঁদগ্রাম ইউনিয়নকে করোনা সংক্রমণের রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) সকাল থেকে এসব এলাকায় কঠোর লকডাউন শুরু হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপপরিচালক মৃণাল কান্তি দে’র সভাপতিত্বে সভায় কুষ্টিয়া জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও সিভিল সার্জন এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী রবিউল ইসলাম, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন-অপরাধ) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল আজাদ রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, গত ১৪ দিনে করোনা রোগী শনাক্তের সংখ্যার ভিত্তিতে ওয়ার্ডগুলোকে তিন শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। কুষ্টিয়া পৌরসভার ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ড (থানাপাড়া-কমলাপুর), ২ নম্বর ওয়ার্ড (কুঠিপাড়া), ৫ নম্বর ওয়ার্ড (চৌড়হাস-ফুলতলা), ৬ নম্বর ওয়ার্ড (হাউজিং), ৭ নম্বর ওয়ার্ড (কালিশংকরপুর), ১৬ নম্বর ওয়ার্ড (বাড়াদী-মঙ্গলবাড়ী), ১৮ নম্বর ওয়ার্ড (মজমপুর-উদিবাড়ী) এবং ২০ নম্বর ওয়ার্ডকে (কুমারগাড়া-চেঁচুয়া) রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন এবং ভেড়ামারা পৌরসভার ১, ২, ৩, ৪, ৬, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডসহ বাহিরচর ও চাঁদগ্রাম ইউনিয়নকেও রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। রেড জোন এলাকাগুলো ২১ দিন লকডাউন থাকবে।
সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক মৃণাল কান্তি দে বলেন, অনেক শিথিলতা দেখানো হয়েছে। কিন্তু দিন দিন পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। আর কোনো ছাড় নয়। আমরা জিরো টলারেন্স ঘোষণা করছি। বৃহস্পতিবার থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে কঠোর লকডাউন চলবে।
সভায় লকডাউনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট পৌরসভার কমিশনার এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে প্রজ্ঞাপন আকারে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে নির্দেশনা প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়।
সর্বশেষ তথ্য মতে, কুষ্টিয়ায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা ২৪৩ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৪২ জন। একই সঙ্গে বর্তমানে হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৯৩ জন। এছাড়াও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন পাঁচজন এবং দুইজনকে খুলনায় পাঠানো হয়েছে।
আল-মামুন সাগর/আরএআর/পিআর