স্ত্রী ও তিন সন্তানের হামলায় হাসপাতালে বৃদ্ধ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৮:২১ পিএম, ১৫ জুলাই ২০২০

নড়াইলের তুলারামপুরের স্ত্রী-সন্তানের হামলায় মশিয়ার মোল্লা নামের এক বৃদ্ধ জখম হয়ে নড়াইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

জানা গেছে, সদরের তুলারামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ তুলারামপুর গ্রামের মশিয়ার মোল্লাকে (৭০) তিন ছেলে শাহিন মোল্লা (৩৪), মিলন মোল্লা (৪০) তুহিন মোল্লা (৩৮) ও প্রথম স্ত্রী হাজেরা বেগম মারধর করে জখম করেছে। এর মধ্যে শাহিন মোল্লা গ্রাম্য ডাক্তার। মশিয়ার মোল্লা বর্তমানে নড়াইল সদর হাসপাতালের ১৪ নম্বর বেডে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মশিয়ার মোল্লা বলেন, গতকাল বিকালে আমি আমার ছোট স্ত্রীকে বসত ঘরে থাকা অবস্থায় অতর্কিতভাবে আমার প্রথম স্ত্রী হাজেরা বেগম তার তিন সন্তানদের নিয়ে আমাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মারপিট শুরু করলে আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। এখন দেখছি, আমার হাত ভেঙে গেছে, ব্যান্ডেজ করা।

তিনি বলেন, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে আমার প্রথম স্ত্রী হাজেরা আমাকে শারীরিক নির্যাতন করছেন, আমার নামের সম্পত্তি তার নিজের নামে লিখে নেয়ার জন্য। আর এ জন্য প্রায়ই আমাকে ছেলেদের দিয়ে মারপিট করায়। আমি যে জমিতে বসবাস করি সে জমি একই গ্রামের চরপাড়ার ভবেশ চৌধুরীর সঙ্গে বদল করা।

মশিয়ার আরও বলেন, সম্প্রতি আমাদের উভয়ের জমির উপর দিয়ে রেল লাইন স্থাপনের কাজ শুরু হয়। এই রেললাইনের টাকা আমার ডাক্তার ছেলে শাহিন মোল্লা তার নিজের নামে উত্তোলনের জন্য ভবেশ চৌধুরীর কাছ থেকে না-দাবি প্রত্যয়নপত্র লিখে নেয়। সেটা আমি জানতে পেরে আমার শরীক ভাইদের জানিয়ে দেই। এতে বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে ওরা সবাই মিলে গতকাল আমাকে মারপিট করেছে।

norail-3.jpg

মশিয়ার মোল্লার ছোট স্ত্রী বলেন, আমার সতীন তার ছেলে ও বউদের নিয়ে এসে আমার স্বামীকে শুধু মারপিটই করেনি, আহত স্বামীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিতে ভ্যান আনতেও বাধা দিয়েছিল এবং আমার ঘরে থাকা ৭০ হাজার টাকা ও একটা সোনার চেইন এবং সোনার কানের দুল নিয়ে গেছে। পরে খবর পেয়ে সাংবাদিকরা এসে ভ্যান এনে দিলে তারপর আমার স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে পারি। আমার স্বামীর হাত, পা ও বুকের হাড়ে মারাত্মক সমস্যা হয়েছে।

ডাক্তার শাহিন মোল্যা ও তার মা হাজেরা বেগম বলেন, মারপিট করা হয়নি শুধু ধাক্কা দেয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কর্তব্যরত ডাক্তার বলেন, মশিয়ার মোল্লা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আমরা এক্স-রে ও কিছু টেস্ট করতে দিয়েছি, রিপোর্ট পেলে সার্বিক বিষয়ে বলতে পারব।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমরা হাসপাতাল মারফত বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশ পাঠিয়ে তদন্ত করিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হাফিজুল নিলু/এফআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।